নির্বাচনী এলাকায় প্রতিপক্ষ প্রার্থী বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসী ও আসামিদের জড়ো করছেন বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদ। তিনি নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী কেন্দ্র পাহারা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিন আজ শনিবার বিভিন্ন পথসভায় এই অভিযোগ করেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ। আজ বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এই আসনের নগর অংশের পাঁচটি ওয়ার্ডের সাতটি স্থানে সভা করেন।
বিকেল সাড়ে চারটায় নগরের মোহরা ওয়ার্ডের মোহরা কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। মোহরা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রার্থী ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ। নির্বাচনী সভাকে কেন্দ্র করে বেলা তিনটা থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে আসতে থাকেন নেতা-কর্মীরা।
এই সভায় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেন, প্রতিপক্ষ প্রার্থী বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্ত্রাসীদের নির্বাচনী এলাকায় নিয়ে আসছেন। বিভিন্ন মামলার আসামিদের এলাকায় জড়ো করছেন। এসব সন্ত্রাসী-আসামিকে এলাকায় ঢুকতে দেবেন না। ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। উন্নয়নের জন্য নৌকার বিজয় নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।
নির্বাচনী সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম, কোষাধ্যক্ষ ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, নগর ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আরশেদুল আলম প্রমুখ।
মোহরা কলেজিয়েট স্কুল থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে চান্দগাঁও ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে দ্বিতীয় সভার আয়োজন করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এই সভায় মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেন, ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে নৌকার বিজয়ে কাজ করতে হবে। আওয়ামী লীগ জিতলে উন্নয়ন হবে। নির্বাচিত হলে প্রথম বছরেই কালুরঘাট সেতু দৃশ্যমান হবে। এই সেতু বাস্তবায়নে চট্টগ্রামের নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবেন। এ ছাড়া নগরের প্রান্তিক এলাকাগুলোর উন্নয়নে উদ্যোগ নেবেন তিনি।
নেতা-কর্মীদের সারা দিন ভোটকেন্দ্র পাহারা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেন, এখন পরাজিত হলে পরবর্তী জীবনে কলঙ্কতিলক নিয়ে থাকতে হবে। পথসভা শেষে নেতা-কর্মীদের নিয়ে মিছিল করেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ।
নির্বাচনী সভায় আসা সারোয়ার আলী খান প্রথম আলোকে বলেন, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনগুলোয় যে উৎসবমুখর পরিবেশ থাকে, উপনির্বাচনে স্বাভাবিকভাবেই এখন তা কিছুটা কম। তবে তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন।
সভায় আসা পাঠানিয়া গোদার বাসিন্দা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলছিলেন, গত দুটি নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল। এরপরও এবার ভোটকেন্দ্রে যাবেন।
পরে নগরের বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, হামজারবাগ, আমিন জুট মিল ও নোয়ারহাট এলাকায় নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়।