কাউন্সিলর রাজীবকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে দুদক কার্যালয়ে আনা হয়েছে। সেগুনবাগিচা, ঢাকা, ১২ জানুয়ারি। ছবি: আবদুস সালাম
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে দুদক কার্যালয়ে আনা হয়েছে। সেগুনবাগিচা, ঢাকা, ১২ জানুয়ারি। ছবি: আবদুস সালাম

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থার সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরীসহ একটি দল রাজীবকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

আজ রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সংস্থার একটি দল কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রাজীবকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে আসে।

গত ৬ নভেম্বর রাজীবের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী। রাজীবের মোট ২৬ কোটি ১৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের বিষয়ে তথ্য পেয়ে মামলা করে সংস্থাটি।

গত ২ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে রাজীবের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে দুদক। শুনানি শেষে আদালত রাজীবের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজীবের বিরুদ্ধে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, তাঁর কয়েক শ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে।

মামলার এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, রাজীব তাঁর চাচা ইয়াসিন হাওলাদারের নামে প্রায় ১২ কোটি টাকা সম্পদ কিনেছেন। তাঁর ওই চাচা পেশায় রাজমিস্ত্রি। এ ছাড়া রাজীবের বিলাসবহুল আটটি গাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। যেগুলোর দাম অন্তত ১২ কোটি টাকা।

দুদক বলছে, কাউন্সিলর হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে ২৬ কোটি ১৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন রাজীব। এসব অর্থ আয়ের সুনির্দিষ্ট কোনো উৎস পায়নি দুদক। এ ছাড়া রাজীবের আরও সম্পদের সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে। যেগুলো তদন্তকালে আইন আমলে নেওয়ার কথা বলেছেন দুদক কর্মকর্তারা।

চলমান শুদ্ধি অভিযানে গত ১৯ অক্টোবর রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাজীবকে। অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।