বিজিএমইএ ভবন কবে ভাঙা হবে?

বিজিএমইএ ভবন । ফাইল ছবি
বিজিএমইএ ভবন । ফাইল ছবি

হাতিরঝিলের বিজিএমইএ ভবন ভাঙার বিষয় অনুমোদনের জন্য আবারও গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে ফাইল পাঠানো হয়েছে। ঠিক কবে নাগাদ ভবনটি ভাঙা হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি। তবে চলতি মাসেই ভাঙার কাজ শুরু হতে পারে বলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) সূত্র জানিয়েছে।

গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রও এ বিষয়ে অগ্রগতির কথা জানিয়েছে। রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী ও হাতিরঝিলের প্রকল্প পরিচালক এ এস এম রায়হানুল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পর আশা করা যায়, ভবনটি ভাঙার কাজ চলতি মাসেই শুরু হতে পারে। তিনি বলেন, ভাঙার দিনক্ষণ নির্ধারণ করার পরও বারবার তারিখ পরিবর্তন করতে হচ্ছে। প্রথমে ভাঙার জন্য যে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছিল, সে প্রতিষ্ঠানকে পরিবর্তন করতে হয়। পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতাকে চূড়ান্ত করা হয়। এ ছাড়া বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষের আবেদনে ভবনের লিফট, এসিসহ কিছু মালপত্র সরানোর জন্য সময় চলে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আবার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। হাতিরঝিলে বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙার কাজ গত বছরের আগস্ট নাগাদ শুরু করার কথা ছিল। প্রথমে সনাতন (ম্যানুয়ালি) না আধুনিক পদ্ধতিতে ভাঙা হবে, তা নিয়ে সময় চলে যায়। পরে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সনাতন পদ্ধতিতেই ভাঙার বিষয় চূড়ান্ত হয়।

>ঠিক কবে নাগাদ ভবনটি ভাঙা হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি। তবে চলতি মাসেই ভাঙার কাজ শুরু হতে পারে বলে রাজউক সূত্র জানিয়েছে।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের বিজিএমইএ ভবন ভাঙার বিষয়ে দরপত্র আহ্বান করে গত ১৭ ডিসেম্বর রাজউক সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দেয়। পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেয়। সবশেষ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা ফোরস্টার এন্টারপ্রাইজকে চূড়ান্ত করা হয়। ঠিক হয় ভাঙার পর বিভিন্ন সামগ্রীর জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রাজউককে ১ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেবে। এরপর দফায় দফায় ভাঙার তারিখ পরিবর্তন হয়। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনকে (বিজিএমইএ) ওই ভবন থেকে লিফট, এসিসহ মূল্যবান সব সামগ্রী নিয়ে যেতে দেওয়ার কারণে এ জটিলতা সৃষ্টি হয়।

উল্লেখ্য, নকশা অনুমোদন ছাড়া নির্মাণসহ বিভিন্ন কারণে বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙার জন্য গত বছরের ১২ জানুয়ারি সময় দেন আদালত। ১৬ তলার এই ভবনে মোট আয়ান বা স্পেস ২ লাখ ৬৬ হাজার বর্গফুট।