স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে ফেলে স্বামীর বিষপান

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে ফেলে স্বামী বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার রাজশাহীর বাঘা উপজেলার হিজলপল্লি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।

নিহত ওই নারীর পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে হত্যা করে দায় এড়াতে জামাই বিষপান করেছেন। পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া ওই নারীর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাঘা উপজেলার হিজলপল্লি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে লিটন আলীর (৩০) সঙ্গে প্রায় সাত মাস আগে ফরিদপুরের সালথা থানার কামাদিয়া গ্রামের ফারুক হোসেনের মেয়ে ফাল্গুনী খাতুনের (২২) বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাঁদের সংসার ভালো চলছিল। হঠাৎ ফাল্গুনী খাতুনের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সকাল সাড়ে ১০টায় ফাল্গুনীকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ফাল্গুনীর স্বামী ও শাশুড়ি মিলে তাঁকে হাসপাতালে এনেছিলেন। চিকিৎসক যখন জানালেন, তাঁকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে, তখন ফাল্গুনীর স্বামী ও শাশুড়ি হাসপাতালে লাশ ফেলে পালিয়ে গেছেন। এর তিন ঘণ্টা পরে প্রতিবেশীরা বিষপান করা অবস্থায় লিটন আলীকে উদ্ধার করে একই হাসপাতালে নিয়ে আসেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়। কিন্তু লিটন রাজশাহী না গিয়ে বাড়ি ফিরে যান।

প্রতিবেশীরা জানান, বিয়ের পর থেকে তাঁদের সংসার ভালো চলছিল। সংসারে কোনো অশান্তি ছিল না। তাঁরা দুজনে মিলে গতকাল শনিবার বাঘা বাজার থেকে একটি শোকেস কিনে আনেন। কিন্তু কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তাঁরা বুঝতে পারছেন না।

এ বিষয়ে ফাল্গুনী খাতুনের বাবা ফারুক হোসেন বলেন, গতকাল মেয়ের জামাই তাঁকে ফোন করে বলেন, আপনার মেয়েকে নিয়ে যান। তিনি দূরে থাকার কারণে পরের দিন এসে নিয়ে যেতে চান। তাঁর মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এটাকে চাপা দেওয়ার জন্য মেয়ের লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।

বাঘা থানার ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি জানার পর লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। তবে এটি হত্যা, না আত্মহত্যা, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাবে না। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।