ইছামতী দখল-দূষণকারীদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

পাবনা জেলার চারটি উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত ইছামতী নদীর দখল ও দূষণকারীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করে আগামী তিন মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

ভূমি সচিব, পরিবেশ সচিব, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের প্রতি ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নদীটি রক্ষায় নির্দেশনা চেয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি ৫ জানুয়ারি ওই রিট করে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবীর। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

পরে সাঈদ আহমেদ কবীর প্রথম আলোকে বলেন, পাবনা জেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ইছামতী নদীটি দখল ও দূষণে জর্জরিত। পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের ভাঁড়ারা ও হেমায়েতপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রামচন্দ্রপুর নামক স্থানে দুটি স্লুইস গেট তৈরি করা হয়। স্লুইসগেট দিয়ে পর্যাপ্ত পানি প্রবেশ না করতে পারায় নদীর প্রবাহ কমে পাবনা শহর এলাকায় নদীটি এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। নদী দখল করে উভয় পাড়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন স্থাপনা, বাড়ি-ঘর ও কল-কারখানার বর্জ্য, পয়োবর্জ্য নদীতে ফেলা হচ্ছে নিয়মিত। ফলে নদীটির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধপ্রায়—এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।

রুলে পাবনা জেলার চারটি উপজেলার (পাবনা সদর, আটঘরিয়া, সাঁথিয়া ও বেড়া) ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ৮৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ইছামতী নদীকে কেন প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সিএস. ম্যাপ অনুযায়ী নদীর সীমানা নির্ধারণের করে দখলদারদের তালিকা তৈরি করে তাদের উচ্ছেদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। চার সপ্তাহের মধ্যে ১৬ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।