জার্মান শিল্পীর ক্যানভাসে সিলেটের শাপলা বিল

দেখা থেকে আঁকায় মগ্ন জার্মান চিত্রশিল্পী। গত শনিবার সকালে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার লাল শাপলা বিল এলাকায়।  প্রথম আলো
দেখা থেকে আঁকায় মগ্ন জার্মান চিত্রশিল্পী। গত শনিবার সকালে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার লাল শাপলা বিল এলাকায়। প্রথম আলো

লাল শাপলা বিল। এখানে শীতকালজুড়ে থাকে পর্যটকদের আনাগোনা। দেখার আকর্ষণ থেকে এক জার্মান চিত্রশিল্পী সদলবলে ছুটে এসেছিলেন লাল শাপলা বিল এলাকায়। দিনভর ঘোরাঘুরি করে লাল শাপলা দেখে দেখে এঁকেছেন ১০টি ছবি। আন্তর্জাতিক কোনো প্রদর্শনীতে ছবিগুলো তুলে ধরতে চান বলে জানিয়েছেন ক্লাউ ডিয়া নামের এই চিত্রশিল্পী।

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার উত্তর-পূর্ব দিকে সীমান্তঘেঁষা ডিবি বিল, কেন্দ্রী বিল, হরফকাটা ও ইয়াম বিলে লাল শাপলা ফোটে। পাশাপাশি চারটি বিল প্রথমবার দেখেই মনে হবে পুরোটা কোনো লাল শাপলার মাঠ। চারটি বিলের জলে শীতকালের শুরু থেকেই ফোটে লাল শাপলা। এ যেন লাল শাপলার হাসি। জলাশয় এলাকার এমন চিত্র নিয়ে ২০১৫ সালের ৪ নভেম্বর ‘লাল শাপলার হাসি’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল প্রথম আলোর প্রথম পাতায়। এরপর থেকে সেখানে ভিড় করছেন পর্যটকেরা।

জার্মান চিত্রশিল্পী ক্লাউ ডিয়ার সঙ্গে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একটি দল গত শুক্রবার সারা দিন লাল শাপলা বিল এলাকায় অবস্থান করে। এখান থেকে ক্লাউ ডিয়া এঁকেছেন লাল শাপলার বিলের নানা রকম চিত্র। শনিবার দলটি ঢাকা ফিরেছে।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক জুনায়েদ মোস্তফা জানান, তাঁরা লাল শাপলার ছবি দেখেছেন এত দিন। কাছ থেকে এই প্রথম দেখে অভিভূত হয়েছেন। জার্মান চিত্রশিল্পীর সঙ্গে তাঁরাও রং–তুলিতে একেঁছেন লাল শাপলার বিল। ক্লাউ ডিয়া লাল শাপলার ১০টি ছবি এঁকেছেন। বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান উল্লেখ করে তিনি বলেন, লাল শাপলা, অতিথি পাখি, সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত বিষয়গুলো তাঁর কাছে অকল্পনীয় লেগেছে।

জৈন্তাপুর উপজেলার ইমরান আহমদ সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক চিত্রশিল্পী মো. খায়রুল ইসলামও লাল শাপলার বিলের নানা চিত্র ধারণ করে ভারত ও বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। ভিনদেশিদের চোখে লাল শাপলা বিল আরও আকর্ষণীয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই এলাকাটিকে পর্যটনকেন্দ্র ঘোষণা করে সংরক্ষণ করা হোক। নাহলে এই সৌন্দর্য সংরক্ষণের অভাবে হাতছাড়া হতে পারে।’