জনগণের ব্যাপক সাড়ায় নবযাত্রার সূচনা: তাপস

দুপুরে মানিকনগর এলাকায় লিফলেট বিতরণ করে প্রচার চালান শেখ ফজলে নূর। ছবি: সাইফুল ইসলাম
দুপুরে মানিকনগর এলাকায় লিফলেট বিতরণ করে প্রচার চালান শেখ ফজলে নূর। ছবি: সাইফুল ইসলাম

বাসযোগ্য ঢাকা গড়ার পাঁচ পরিকল্পনা নিয়ে জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ–মনোনীত মেয়রপ্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, জনগণের ব্যাপক সাড়ায় নবযাত্রার সূচনা হয়ে গেছে। মেয়র নির্বাচিত হলে ৯০ দিনের মধ্যে নাগরিকদের সব মৌলিক সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

আজ সোমবার দুপুরে চতুর্থ দিনের প্রচার শুরু করার সময় মানিকনগর বাসস্ট্যান্ডে এক পথসভায় এসব কথা বলেন শেখ ফজলে নূর। তিনি বলেন, ‘ঢাকাবাসী সাদরে আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে। আমরা আশা করি, ৩০ জানুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে ঢাকাবাসী আমাকে তাঁদের সেবক হিসেবে নির্বাচিত করবেন।’

ভঙ্গুর ঢাকাকে বাঁচাতে তাঁর পাঁচ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী। পাঁচ পরিকল্পনায় আছে ঢাকার ঐতিহ্য, সুন্দর ঢাকা, সচল ঢাকা, সুশাসিত ঢাকা ও উন্নত ঢাকা। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় এসব বাস্তবায়ন করতে চান তিনি। মৌলিক সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি উন্নত ঢাকা গড়তে ৯০ দিনের মধ্যেই ৩০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা করা হবে। এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে একটি দুর্নীতিমুক্ত সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই তাঁর লক্ষ্য।

নগরে অন্যান্য রাষ্ট্রীয় সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করার বিষয়ে শেখ ফজলে নূর বলেন, রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির ব্যাপারে সব সংস্থার কাছ থেকে বছরের শুরুতেই চাহিদা নেওয়া হবে। তাদের কাজ শেষ হলে সিটি করপোরেশন কাজ শুরু করবে। একবার রাস্তা নির্মাণ করার পর তিন বছরের মধ্যে আর কাউকে কাজ করতে দেওয়া হবে না। এতে জনদুর্ভোগ থেকে ঢাকাবাসী পরিত্রাণ পাবে।

সকাল সাড়ে ১০টায় প্রচার শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা একটার দিকে সেখানে উপস্থিত হন শেখ ফজলে নূর। সকাল থেকেই সেখানে নেতা-কর্মীরা ভিড় করেন। তিনি আসার সঙ্গে সঙ্গে স্লোগান দিয়ে নেতা-কর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানান। এ সময় সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল বাতেন বাচ্চু এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী মাকসুদাকে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন তিনি। এরপর দুপুরের নামাজ আদায় করে জনসংযোগ শুরু করেন তাপস। মানিকনগর, মান্ডা, মুগদা, বাসাবোর বিভিন্ন এলাকায় হেঁটে হেঁটে প্রচারপত্র বিলি করেন তিনি।