শিশু তোফাজ্জল হত্যা: চাচা-ফুফুসহ সাতজন রিমান্ডে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্র তোফাজ্জল হোসেন (৭) হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া তার দুই চাচা, এক ফুফুসহ সাতজনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আজ সোমবার সুনামগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভদীপ পাল এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিক আজ দুপুরে পুলিশ তোফাজ্জলের প্রতিবেশী গ্রেপ্তার হওয়া হাবিবুর রহমান ওরফে হবির বসত ঘরে থাকা একটি ওয়্যারড্রপ থেকে একটি লুঙ্গি ও বালিশের কাভার জব্দ করেছে। পুলিশের ধারণা লুঙ্গিটি নিহত তোফাজ্জলের। এ সময় আশপাশের অন্যান্য ঘরে তল্লাশি চালানো হয়।

গত শনিবার সকালে জেলার তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামে এক প্রতিবেশীর ঘরের পেছন থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় শিশু তোফাজ্জলের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের মাথায় আঘাত ও একটি চোখ ওপড়ানো ছিল।

এ ঘটনায় ওই দিন রাতে তাহিরপুর থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন তোফাজ্জলের বাবা জুবায়ের হোসেন। এরপর মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। আসামিরা হলেন তোফাজ্জল হোসেনের দুই চাচা সালমান হোসেন (২৫) ও লোকমান হোসেন (২১), ফুপু শিউলি আক্তার (১৯), শিউলির স্বামী সেজাউল কবির (২৫), সেজাউলের বাবা কালা মিয়া (৫৫) এবং হাবিবুর রহমান ওরফে হবি (৪৮) ও তার ছেলে সারোয়ার হাবিব রাসেল (২৫)। এরা সবাই বাঁশতলা গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী। গতকাল রোববার তাঁদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। আজ শুনানি শেষে আদালত কালা মিয়া ও তাঁর ছেলে সেজাউল কবিরকে পাঁচ দিন এবং অন্যদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশ ও শিশুটির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বিকেলে তোফাজ্জল খেলতে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেনি। খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে লিখিতভাবে জানায় তার পরিবার। এরপর গতকাল শনিবার ভোর পাঁচটার দিকে জুবায়ের হোসেনের প্রতিবেশী হাবিবুর রহমানের ঘরের পেছন থেকে তোফাজ্জলের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর গ্রেপ্তার হওয়া সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে গতকাল রাতে তোফাজ্জল হোসেনের বাবা মামলা দায়ের করলে পুলিশ ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখায়। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে শিশু তোফাজ্জলকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী বলছেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা সোমবার ওই গ্রামে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া হাবিবুর রহমানের বসতঘরে তল্লাশি চালিয়ে কিছু আলামত জব্দ করেছি।