সরকারি কাজে বাধার অভিযোগে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৪০ জনের নামে মামলা

সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর মিরপুর থানায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ৪০ নেতা-কর্মীর নামে মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় মিরপুর, শাহ আলী, কাফরুল ও দারুস সালাম থানা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজন কর্মীকে। এর মধ্যে দুজনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এক দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার তিন আসামি হলেন আরিফুর রহমান (৩১), মহম্মদ (১৯) ও মো. ইমন (১৮)।

পুলিশ ও আদালত সূত্র বলছে, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকে সোমবার ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করা হলে শুনানি নিয়ে আদালত দুজনকে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশের করা মামলায় বলা হয়েছে, রোববার দুপুরে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আওয়ালের প্রচারণার সময় সমর্থকেরা মারামারি করেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে আসার পর আসামিরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করেন, এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মারেন।

মিরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল কাদের বাদী হয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সহসভাপতি কাউসার আহম্মেদ (৪৫), রাজীব ওরফে টোনা রাজীব (৩৫), শাকিল (৩০), মঞ্জুর আহমেদ (৫২), সিদ্দিক (৪৫), ঢাকা মহানগর বিএনপির উত্তরের সহসভাপতি রবিউল ইসলাম (৫০), মিরপুর থানা ছাত্রদলের সভাপতি তাজুল ইসলাম (৩০), ইদ্রিস আলী লাবুল (৩৮), মিরপুর থানা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুমন (৪০), মিরপুর ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান (৪৫), কাফরুল থানার ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির দপ্তর সম্পাদক রহমত উল্লাহ (৪৫), ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী মৃধা (৪৫), কাফরুল থানার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এম এ খালেক (৩৯), ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আহমম্মেদ কমল (৪৫), জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম (৪৫), কাফরুল থানার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির প্রস্তাবিত সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন (৪৯), দারুস সালাম থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন রতন (৫০), সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন চৌধুরী (২৬), দারুসসালাম থানা বিএনপির ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি আলমগীর হোসেন ভুট্টু (৪০), দারুস সালাম থানার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশীদ (৪৫), সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান গনি (৪০), সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান (৪০), জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন (৫০), সভাপতি ওমর নাসির (৪৭), দারুস সালাম থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির (৫০), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজিফুর রহমান (৫০), শাহ আলী থানার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম (৩০), ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন দেওয়ান (৪৭), যুগ্ম আহ্বায়ক আহাম্মদ আলী সিকদার (৪৭), শাহ আলী থানা যুবদলের সভাপতি সাজ্জাদুল মিরাজ (৩৩), ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন (৩৭), সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির (৩৫), সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আরশাদ আলী (৪২), ফয়সাল হোসেন (২৭), কাজী রবিন (২৮), গাজী জহিরুল ইসলাম (৪২), সোহেল (২৫), ইমন (১৮), মহম্মদ (১৯) ও আরিফুর রহমান (৩১)।