দিনে কুয়াশার দাপট কমে বাড়বে তাপ

>
ঘন কুয়াশায় মহাসড়কে যানবাহনের হেডলাইটে সামান্য দূরেই কিছু দেখা যাচ্ছে না। এর মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে পাল্লা দিয়ে চলছে গাড়িগুলো। গতকাল সকাল সাড়ে আটটার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের চওড়াপাড়া এলাকায়।  ছবি: মঈনুল ইসলাম
ঘন কুয়াশায় মহাসড়কে যানবাহনের হেডলাইটে সামান্য দূরেই কিছু দেখা যাচ্ছে না। এর মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে পাল্লা দিয়ে চলছে গাড়িগুলো। গতকাল সকাল সাড়ে আটটার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের চওড়াপাড়া এলাকায়। ছবি: মঈনুল ইসলাম
বায়ুদূষণে দুই দিন ধরে ঢাকা শীর্ষে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

টানা শৈত্যপ্রবাহে যাঁরা কষ্ট পাচ্ছিলেন, ভরদুপুরেও রোদ না থাকায় যাঁরা বিড়ম্বনায় ছিলেন, তাঁদের জন্য কিছুটা হলেও সুসংবাদ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তারা বলছে, দিনভর কুয়াশার দাপট কমে সূর্যের দেখা মিলবে, বাড়বে তাপমাত্রা।

এরই মধ্যে দিনের বেলা খটখটে রোদের দেখা পেয়েছে রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকার মানুষ। এক দিনের ব্যবধানে রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গতকাল সোমবার ৪ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়েছে। 

তবে তাপমাত্রা কম থাকায় ও বাতাসে দূষিত সূক্ষ্ম বস্তুকণা বেশি থাকায় ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ শহরের বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় ছিল। অন্য ১২টি শহরের বাতাসও গত রোববার দিনভর খুবই অস্বাস্থ্যকর থেকে মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় ছিল। বিশ্বের বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়ালের হিসাবে, রোববার রাত ১০টা থেকে গতকাল ভোর পর্যন্ত রাজধানীর বাতাস মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বা হ্যাজারডার্স অবস্থায় ছিল। যা বিশ্বের প্রধান শহরগুলোর মধ্যে দূষণের দিক থেকে ১ নম্বর অবস্থায় ছিল। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ভারতের রাজধানী দিল্লি ও তৃতীয় স্থানে ছিল থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই শহর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আজ মঙ্গলবার দেশের বেশির ভাগ স্থানে রাতে একই রকমের শীত থাকতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে যে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও এতে শীতের কষ্ট খুব বেশি কমবে না। গত তিন দিন ধরে দেশের বেশির ভাগ এলাকার আকাশে মেঘ ও দৃষ্টিসীমাজুড়ে যে কুয়াশা ছিল, তা আরও কমে আসতে পারে। এতে দিনের বেলা আরও বেশি সময়জুড়ে সূর্যের তাপ বা রোদের দেখা পাওয়া যেতে পারে। 

জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মূলত কুয়াশা ও মেঘ কমে আসায় দিনের তাপমাত্রা বেড়েছে। আজ থেকে দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। তবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় যে শৈত্যপ্রবাহ চলছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে। 

গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ এবং চুয়াডাঙ্গা, যশোরসহ মোট ১৭টি জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। তবে এসব জেলায় রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সাড়ে ৭ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলেও দিনের তাপমাত্রা ২০ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছিল। রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।