সশস্ত্র হামলায় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য নিহত

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একদল লোকের হামলায় পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এক সদস্য নিহত হয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিপক্ষের লোকজন এই হামলা চালিয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে মহম্মদপুর উপজেলার বলিদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও গ্রামবাসীর ধারণা, বলিদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান মফিজ মিনা ও বলিদিয়া গ্রামের ইউনুস শিকদারের মধ্যে বিরোধের জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

নিহত অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যের নাম আবু সাঈদ মোল্লা (৫৫)। তিনি বলিদিয়া গ্রামের মৃত নূরুল ইসলাম মোল্লার ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আবু সাঈদ মোল্লা পাশের গ্রাম বড়রিয়ায় অনুষ্ঠিত ঘোড়দৌড় মেলা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত আটটার দিকে বলিদিয়া মধ্যপাড়া এলাকায় পৌঁছালে কয়েক জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে আবু সাঈদের ওপর হামলা চালান। গুরুতর আহত আবু সাঈদকে উদ্ধার করে রাত ১০টার দিকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. রফিকুল আহসান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই আবু সাঈদের মৃত্যু হয়।

মাগুরা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (শালিখা সার্কেল) আবীর সিদ্দিকী শুভ্র প্রথম আলোকে জানান, অনেক দিন ধরে বলিদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান মফিজ মিনা ও বলিদিয়া গ্রামের ইউনুস শিকদারের নেতৃত্বে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সামাজিক বিরোধ চলে আসছে। দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার সংঘাত, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরেই প্রতিপক্ষ মফিজ মিনার গ্রুপের লোকজন ইউনুস শিকদারের অনুসারী আবু সাঈদ মোল্লার ওপর এ হামলা চালিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত গ্রাম্য মাতবর ইউনুস শিকদারের অভিযোগ, মফিজ মিনা ও তাঁর অনুসারী সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মৃত নওশের শিকদারের ছেলে ইমরুল শিকদারের নেতৃত্বে তাঁদের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে।

হামলার অভিযোগের ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান মফিজ মিনারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল রাতে একটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও কয়েকটি বাড়িতে লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারক বিশ্বাস জানান, রাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরবর্তী সংঘাত এড়াতে রাত থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তিনি জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।