প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ফল কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১৮ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ঘোষিত চূড়ান্ত ফলাফল কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

নিয়োগপ্রার্থীদের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রুল জারি করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

কামাল হোসেন ইউএনবিকে বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩–এর ৭ ধারায় বলা হয়েছে, এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলোর ৬০ শতাংশ নারী প্রার্থীদের দ্বারা, ২০ শতাংশ পোষ্য প্রার্থীদের দ্বারা এবং বাকি ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করা হবে।

গত ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলাফলে সেটা অনুসরণ করা হয়নি উল্লেখ করে ১৬ জন নিয়োগপ্রার্থী ওই ফলাফলের বৈধতা নিয়ে রিট করেন। আজ আদালত রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন।

রুলে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ লঙ্ঘন করে ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলাফল কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং একই সঙ্গে ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ অনুসরণ করে নতুন ফলাফল কেন ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

১০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

কামাল হোসেন আরও বলেন, ‘এর মধ্যে ওই ফলাফল অনুসারে যদি তারা নিয়োগের উদ্যোগ নেয়, তাহলে তা স্থগিতে আমরা ফের আদালতের দ্বারস্থ হবে। আর আদালতের জারি করা রুল বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়েছে।’

গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মৌখিক পরীক্ষায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করে।