অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন রিফাতের মা

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন নিহত রিফাতের মা ডেইজি বেগম। বরগুনা শিশু আদালতে আজ মঙ্গলবার অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন মামলার দুই নম্বর সাক্ষী ডেইজি বেগম। এ ছাড়া মামলার তিন নম্বর আসামি ও রিফাতের চাচাতো বোন নুসরাত জাহানও আদালতে সাক্ষ্য দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মজিবুল হক জানান, আজ বেলা দুইটার দিকে অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিরুদ্ধে শিশু আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্য গ্রহণের সময় আদালতে ১৪ অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি উপস্থিত ছিল। আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এই সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আদালতে একমাত্র ছেলে হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে মূর্ছা যান ডেইজি বেগম।

এর আগে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। এ সময় বিচারক নিহত রিফাতের চাচা আবদুল আজিজ শরীফ, সালাম শরীফ এবং ইদ্রিস নামের তিন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরীক্ষা থাকায় সাক্ষ্য গ্রহণ চলাকালে আদালতের অনুমতি নিয়ে বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেন নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা। কারাগারে বসে একই পরীক্ষায় অংশ নেন আল কাইউম ও মো. সাগর। বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ভুবন চন্দ্র হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মজিবুল হক প্রথম আলোকে বলেন, আজ রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে তিনজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া এ মামলার ১৪ অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামির বিরুদ্ধে রিফাতের মা ও চাচাতো বোন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে তাঁর স্ত্রীর সামনে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। এরপর তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনলে ওই দিন বিকেলেই মারা যান রিফাত। পরদিন ২৭ জুন নিহত রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।এই মামলায় একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে প্রধান সাক্ষী করা হয় আয়শাকে। গত ২৯ আগস্ট উচ্চ আদালত আয়শাকে জামিন দেন।