অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সোনালী ব্যাংকের ফেনীর দাগনভূঞা শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নুর নবী চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জেলা শহরের পুলিশ কেজি স্কুলের সামনে থেকে আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে তিনি একই ব্যাংকের নোয়াখালীর চরবাটা ও সুবর্ণচর শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এর আগে বুধবার সকালেই নুর নবী চৌধুরী ছাড়া সোনালী ব্যাংকের সুবর্ণচর শাখার আরও তিন কর্মকর্তাসহ মোট সাতজনের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ বাদী হয়ে ওই তিনটি মামলা করেন। তিনটি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গ্রাহকের নামে ভুয়া ঋণ বন্ড তৈরি করে সরকারি ১৭ লাখ ৯৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, তিনটি মামলার অন্য আসামিরা হলেন সোনালী ব্যাংকের সুবর্ণচর শাখার সাবেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা (ক্যাশ) নেছার উদ্দিন আহমেদ (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেম (বর্তমানে নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ী শাখায় কর্মরত), কর্মকর্তা আবদুল গফুর (বর্তমানে একই শাখায় কর্মরত), চরবাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য আলেয়া বেগম, সুবর্ণচরের চরবাটার মহিউদ্দিন ভূঁইয়া ও উত্তর কচ্ছপিয়া এলাকার মো. সিরাজুল ইসলাম।

ব্যাংক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার ও মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তা নুর নবী চৌধুরী সোনালী ব্যাংকের চরবাটা ও সুবর্ণচর শাখায় কর্মরত থাকা অবস্থায় একই ব্যাংকের আরও তিন কর্মকর্তা এবং চরবাটা ইউপির সাবেক সদস্য আলেয়া বেগমসহ সাতজন মিলে বিভিন্ন গ্রাহকের নামে ভুয়া ঋণ বন্ড তৈরি করে মোট ১৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অডিট ও পরিদর্শন শাখার তিনটি পৃথক তদন্তে ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময় সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৫১ জন গ্রাহকের নামে ভুয়া ঋণ বন্ড তৈরি করে ভুয়া ঋণ বিতরণের বিষয়টি উঠে আসে।

দুদক কর্মকর্তা সুবেল আহমেদ আরও জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যাংক কর্মকর্তা নুর নবী চৌধুরীকে বুধবার দুপুরে নোয়াখালীর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।