যশোরে চালু হচ্ছে স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার

যশোরে চালু হতে যাচ্ছে বিদ্যুতের স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার। ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) যশোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ ও ২ আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে জেলার প্রায় ৮৬ হাজার গ্রাহককে তাঁদের পুরোনো মিটার বদলে স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার দিতে যাচ্ছে।

ওজোপাডিকোর যশোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সূত্র জানায়, ওজোপাডিকোর যশোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ ও ২–এ মোট গ্রাহক রয়েছেন ৮৬ হাজার ৩৩২ জন। এর মধ্যে বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১–এ গ্রাহক ৪৩ হাজার এবং বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২–এ ৪৩ হাজার ৩৩২ জন। সব গ্রাহকই বিদ্যুতের স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার পাবেন। এই মিটার শর্টসার্কিটজনিত দুর্ঘটনা রোধ করে গ্রাহকের বিদ্যুৎ ব্যবহার নিরাপদ করে। এই মিটারিং পদ্ধতিতে বিল পরিশোধ সহজ। ব্যবহারকারী পরিবারের বাজেট অনুযায়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। মিটারের ব্যালান্স শেষ হয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে অগ্রিম ব্যালান্স নেওয়ার ব্যবস্থা থাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ হওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকে না। গ্রাহকেরা নিট বিদ্যুৎ বিলের ওপর ১ শতাংশ হারে ভর্তুকি পাবেন।

সূত্র জানায়, স্মার্ট প্রি–পেইড মিটারের দাম হবে ৫ হাজার ৬০০ টাকা। বাকিতে মিটার সরবরাহ করা হবে। মিটারের মূল্য গ্রাহকেরা মাসিক ৪০ টাকা হারে পরিশোধ করবেন। গ্রাহকেরা অ্যাপসের মাধ্যমে মুঠোফোন থেকে বিদ্যুতের মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। গ্রাহকেরা চাঁচড়া বিদ্যুৎ ভবনে এবং শহরের চিত্রার মোড়ে কার্যালয়ের ভেন্টিং স্টেশনে বিদ্যুতের মূল্য পরিশোধ এবং বিদ্যুতের মূল্য পরিশোধের কার্ড কিনতে পারবেন।

যশোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১–এর নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যালান্স শেষ হওয়ার আগপর্যন্ত মিটার তিন থেকে চারবার সংকেত দেবে। বিকেল চারটায় যদি মিটারের ব্যালান্স শেষ হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত গ্রাহকেরা বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন। আর যদি সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রিচার্জ শেষ হয়, তাহলে রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত এবং সরকারি ছুটির দিনে রিচার্জ শেষ হলে ছুটি শেষে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত গ্রাহকেরা বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। গ্রাহকদের ব্যাংকে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে বিদ্যুৎ বিল দিতে হবে না। বাড়িতে বসে মুঠোফোনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল দিতে পারবেন।

যশোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২–এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম বলেন, স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার চালু হলে বিদ্যুতের বিল নিয়ে গ্রাহকদের আর কোনো অভিযোগ থাকবে না। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখার সুযোগও থাকবে না। প্রি–পেইড মোবাইল সংযোগের মতোই জেনেবুঝে বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন গ্রাহকেরা।