এক রাতে সাত সরকারি দপ্তরে চুরি ও ফাইল তছনছ

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার সাতটি সরকারি দপ্তরে জানালার গ্রিল ও দরজার তালা ভেঙে চোর ঢুকে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চুরির এ ঘটনা ঘটে। 

কার্যালয়গুলো হচ্ছে, উপজেলা ভূমি অফিস, উপজেলা শিক্ষা অফিস, বিআরডিবি,উপজেলা মৎস্য অফিস, উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস, উপজেলা যুব উন্নয়ন কার্যালয় এবং আনসার ভিডিপি ব্যাংক।
এ ঘটনায় দপ্তর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সম্মিলিতভাবে ধামইরহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

উপজেলা প্রশাসন ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে সংঘবদ্ধ একটি চোরের দল উপজেলা পরিষদ এলাকায় অবস্থিত ওই সাতটি সরকারি দপ্তরে হানা দেয়। চোরেরা জানালার গ্রিল কেটে, দরজার তালা ভেঙে অফিসগুলোর ভেতরে ঢুকে। অফিসগুলোর আলমারির ও ফাইল ক্যাবিনেট ভেঙে সেখানে রাখা মূল্যবান কাগজপত্র তছনছ করে। এ ছাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কক্ষে থাকা নগদ ৩৫ হাজার টাকা ও উপজেলা ভূমি অফিসের আলমারির তালা ভেঙে ১০ হাজার চুরি করে নিয়ে গেছে।

আজ বুধবার সকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালেহ মো. আশরাফুল আলম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গণপতি রায় ঘটনাস্থলগুলো পরিদর্শন করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গণপতি রায় বলেন, পুরো উপজেলা প্রশাসন চত্বর সিসি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেছে দেখা যাচ্ছে, রাত ৩টা থেকে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চুরির এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কোনো কাগজপত্র খোয়া গেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, কয়েকটি অফিসে নৈশপ্রহরী থাকলেও তাঁরা ঘুমিয়ে পড়ার কারণে কিছুই জানতে পারেনি। সিসি ক্যামেরায় ফুটেজসহ সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হাসান সরদার বলেন, এক সঙ্গে সরকারি সাতটি অফিসে চুরির ঘটনা একটি স্পর্শকাতর বিষয়। সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই রাতে নৈশপ্রহরী হিসেবে যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় সম্মিলিতভাবে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। চোর চক্রকে ধরতে জোর প্রচেষ্টা চলছে।