দুদকের মামলায় ইশরাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। ফাইল ছবি
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। ফাইল ছবি

সম্পদের হিসাববিবরণী জমা না দেওয়ার মামলায় ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪–এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম আজ বুধবার এ আদেশ দেন। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের শুনানির দিন ঠিক করা হয়েছে।

আদালতের পেশকার ফজলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সম্পদের হিসাববিবরণী জমা না দেওয়ার মামলায় আদালত আসামি ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন। এ সময় আদালতে আসামি ইশরাক হোসেন উপস্থিত ছিলেন। আদালত সূত্র বলছে, দুদকের মামলায় ইশরাক হোসেন আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

এর আগে ২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বর ইশরাকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। ওই বছরের ২৫ নভেম্বর বিএনপির নেতা সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন ও মেয়ে সারিকা সাদেকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয় দুদক।

দুদক সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই দুজনের বিরুদ্ধে সম্পদবিবরণী নোটিশ জারি করে দুদক। সম্পদের হিসাববিবরণী নির্দিষ্ট সময়ে জমা না দেওয়ায় ২০১০ সালের আগস্টে তাঁদের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করেন দুদকের ওই সময়ের সহকারী পরিচালক মো. শামছুল আলম।

দুটি মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাদেক হোসেন খোকার স্থাবর-অস্থাবর অনেক সম্পত্তি রয়েছে তাঁর ছেলে ইশরাক হোসেন ও মেয়ে সারিকা সাদেকের নামে। এসব সম্পদের অর্থের উৎস দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন তাঁরা। তাঁদের সম্পত্তির হিসাববিবরণী জমা দেওয়ার জন্য সাত দিন সময় দিয়ে দুদক নোটিশ দিলেও নির্ধারিত সময়ে তাঁরা তা দাখিল করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

নির্দিষ্ট তারিখে সম্পদের হিসাব জমা না দেওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬(২) (ক) ধারামতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় মামলা দুটি করা হয়।

দুদক সূত্র জানায়, উচ্চ আদালতে রিট ও লিভ টু আপিল থাকার কারণে মামলার তদন্ত দীর্ঘদিন আটকে ছিল। আদালতে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হওয়ার পর উপপরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান। তাঁর সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন অভিযোগপত্র দাখিলের অনুমোদন দেয়।

২০১১ সালে দুই ভাগে বিভক্ত হওয়ার আগপর্যন্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন সাদেক হোসেন খোকা। দায়িত্ব ছাড়ার পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে একাধিক মামলা করে দুদক। এ ছাড়া অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় ২০১৫ সালের ২০ অক্টোবর খোকার ১৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা জরিমানার রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩। একই সঙ্গে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তা দখলেও নেওয়া হয়। দুদকের ওই মামলায় খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন ও মেয়ে সারিকা সাদেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলেও পরবর্তী সময়ে চার্জশিট থেকে তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হয়।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা মারা গেছেন।