নোয়াখালীতে স্ত্রী হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালী সেনবাগে স্ত্রী জহুরা বেগম (২৯)কে হত্যার অভিযোগে মহিন উদ্দিন ওরফে খাজাকে (৩৬) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ সালেহ উদ্দিন আহমদ এ রায় দেন। রায়ে আদালত দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল গৃহবধূ জহুরা বেগম (২৯) সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের কালারাইতা গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরের মাসের ৪ মে কালারাইতা গ্রামের ভেতর দিয়ে যাওয়া কাশিপুর সড়কের পাশের পরিত্যক্ত একটি ডোবায় একটি পচা-গলা লাশ পাওয়া যায়। পরিবারের লোকজন গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।

এ ঘটনায় পরের দিন নিহত জহুরার মা অজিফা খাতুন বাদী হয়ে জহুরার স্বামী মহিন উদ্দিন ওরফে খাজাকে প্রধান আসামি করে তাঁর পরিবারের সাতজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবু তাহের ২০১৬ সালের ৬ মার্চ জহুরার স্বামী মহিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।

সূত্র জানায়, আদালত ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী নিযুক্ত না থাকায় আদালত স্টেট ডিফেন্স নিযুক্ত করা হয়।

মামলার রায়ে উল্লেখ করা হয়, আদালতে সাক্ষীদের বক্তব্য অনুযায়ী ঘটনার সাত-আট বছর আগে জহুরা বেগম ও মহিন উদ্দিনের বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। মহিন উদ্দিন বিদেশে থাকতেন। দেশে ফেরার পর একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক হয়। তিনি তাঁকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে অন্যত্র থাকতেন। অন্য মেয়ের সঙ্গে বসবাসের বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খারাপ হয়। স্বামী তাঁকে মারধর করতেন। অত্যাচার সহ্য করেও জহুরা স্বামীর সংসার করতেন। এরই মধ্যে ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল জহুরা নিখোঁজ হন। যার প্রায় এক মাস পর তাঁর লাশ পাওয়া যায়।