অভয়ারণ্য ঘোষণায় চূড়ান্ত পদক্ষেপ ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জানাতে নির্দেশ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের আমবাগান এলাকা পাখিদের অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণায় চূড়ান্ত পদক্ষেপ জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে এ বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে।

রাজশাহী জেলা প্রশাসকের দাখিল করা প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর আজ বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই নির্দেশ দেন।

গত ১৮ ডিসেম্বর ওই বিষয়ে চূড়ান্ত পদক্ষেপ জানাতে বলে ১৫ জানুয়ারি শুনানির জন্য দিন রেখেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি ওঠে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। অন্যদিকে ছিলেন আইনজীবী প্রজ্ঞা পারমিতা রায়।

শুনানিতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, প্রতিবছর ৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা লাগবে। এ জন্য গত ৩১ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক পরিবেশ মন্ত্রণালয় বরাবরে লিখেছেন। আদালত বলেন, ‘এখনো দেখছি চিঠি চালাচালির মধ্যেই আছে। আগে জেলা প্রশাসক দুটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। একটি ছিল বার্ষিক হিসাবে, অন্যটি স্থায়ীভাবে জমি অধিগ্রহণ করার। এর একটি প্রস্তাব গ্রহণ করলেই তো হলো। এ নিয়ে চিঠি চালাচালির কী দরকার?’

তখন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার বলেন, জেলা প্রশাসক ওই চিঠিতে অতিথি পাখির অভয়াশ্রম বাবদ আমবাগানের মালিক বা ইজারাদারদের যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রতিবছর ৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা বরাদ্দের জন্য অনুরোধ করেছেন। এখন একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, হয়ে যাবে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্দেশ্যে আদালত বলেন, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিষয়টি মুলতবি রাখা হচ্ছে। চিঠির বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়, তা জানাবেন। আদালত বলেন, ওখানে এখন পাখি আছে কি? না চলে গেছে। তখন আইনজীবী প্রজ্ঞা পারমিতা রায় বলেন, এখনো আছে।

পাখিদের উচ্ছেদে ১৫ দিন সময় দিলেন বাগানমালিক’ শিরোনামে গত বছরের ৩০ অক্টোবর প্রথম আলোতে প্রতিবেদন ছাপা হয়, যা সেদিন আদালতের নজরে এনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনার আরজি জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রজ্ঞা পারমিতা রায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত রুল দিয়ে পাখির বাসাগুলো না ভাঙতে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। একই সঙ্গে ওই এলাকা অভয়ারণ্য ঘোষণার কারণে বাগানমালিক ও ইজারাদারের ক্ষতির সম্ভাব্যতা নিরূপণ করে ৪০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর ধারাবাহিকতায় গত ১৮ ডিসেম্বর রাজশাহী জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এতে ওই জমির মালিক বা ইজারাদারদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে বছরে ৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা নির্ধারণ এবং জায়গা অধিগ্রহণ করার ক্ষেত্রে সব মিলে সম্ভাব্য মূল্য ২ কোটি ১২ লাখ ৮৫ হাজার ৯০৬ টাকা নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর কথা বলা হয়।