গাঙ্গেয় ডলফিনটি নিয়ে গেলেন এক কবিরাজ

সুতিয়া নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছিল এই গাঙ্গেয় ডলফিন। ছবি: প্রথম আলো
সুতিয়া নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছিল এই গাঙ্গেয় ডলফিন। ছবি: প্রথম আলো

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রামের সুতিয়া নদীতে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় ধরা পড়ে একটি গাঙ্গেয় ডলফিন। স্থানীয় লোকজন বাধা দিলেও সেটি নদীতে না ছেড়ে এক কবিরাজ নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রামের পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তরুণ জানান, সন্ধ্যা ৭টায় এই গাঙ্গেয় ডলফিন এক জেলের জালে ধরা পড়ে। পরে সেটিকে নদীর পাড়ে নিয়ে আসা হয়। ডলফিনটি জীবিত থাকা অবস্থায় তিনিসহ স্থানীয় অনেকেই এটিকে নদীতে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান। এ সময় খবর পেয়ে নদীর অপর পাশে ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার নিগুয়ারী গ্রামের মোবারক হোসেন নামের এক কবিরাজ সেখানে আসেন। তিনি জেলের কাছ থেকে ডলফিনটিকে জীবিত অবস্থায় তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন জানান, ওই কবিরাজ তেল তৈরি করার জন্য ডলফিনটি নিয়ে গেছেন।

রাহাত আকন্দ নামের এক ব্যক্তি প্রথম আলোকে জানান, তাঁরা বন্ধুবান্ধব মিলে ডলফিনটিকে নদীতে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘ডলফিন এখন নদীতে নেই বললেই চলে। এমন দুঃসময়ে এভাবে জেলের জালে ধরা পড়ায় প্রাণীগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই আমরা এটিকে নদীতে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম।’ কিন্তু ওই জেলে তাঁদের কথা না শুনে ডলফিনটি এক কবিরাজের কাছে দিয়ে দেন। 

প্রত্যক্ষদর্শী লোকজনের কয়েকজন জানান, ডলফিনটির দৈর্ঘ্য সাড়ে তিন ফুটের মতো। গায়ের রং ধূসর। মুখের আকৃতি লম্বাটে। এগুলো বর্ষার সময় মাঝেমাধ্যে সুতিয়া নদীতে লাফাতে দেখা যায়। একসময় এই নদীতে অনেক গাঙ্গেয় ডলফিন ছিল বলে তাঁরা জানেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।