পেঁয়াজ তোলার মৌসুমে আমদানি বন্ধ থাকবে: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। ফাইল ছবি
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। ফাইল ছবি

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সামনে দেশি পেঁয়াজ তোলার মৌসুমে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখা হবে। কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সাংসদ আয়েন উদ্দীনের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা জানান।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চাষিরা যখন পেঁয়াজ তোলেন, তখন দাম কমে যায়। দাম না পেয়ে কৃষকেরা পেঁয়াজ আবাদে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। এ বছর বাণিজ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের আলোচনা হয়েছে। যখন পেঁয়াজ তোলা হবে, তখন আমদানি বন্ধ থাকবে, যাতে চাষিরা ভালো দাম পান। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে, যা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তাতে পেঁয়াজ নিয়ে সামনের বছর সমস্যা হবে না।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে সারা দেশে নানা ক্ষোভ ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। বর্তমানে বাজারে কিছুটা স্থিতিশীলতা এসেছে। দেশে পেঁয়াজে চাহিদা বছরে ৩০ থেকে ৩২ লাখ টান। দেশে উৎপাদিত হয় বছরে ২৩ থেকে ২৪ লাখ টন। বাকি পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। গত মৌসুমে বৃষ্টি বেশি হওয়ায় অনেক পেঁয়াজ খেতেই নষ্ট হয়ে যায়। আবার হঠাৎ করে ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ফলে বিরাট ঘাটতি হয়। দেশের যেসব এলাকায় পেঁয়াজ বেশি হয়, সেখানকার মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বছর টার্গেটের চেয়ে বেশি এলাকায় পেঁয়াজ রোপণ হচ্ছে, ২৩ থেকে ২৪ লাখ টনের চেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হবে।

জাসদের সাংসদ শিরিন আখতারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের দাম এ মুহূর্তে বেশি। তবে পেঁয়াজের দাম ১১০ টাকা কেজি থাকবে না।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, সবজির দাম তুলনামূলকভাবে এবার বেশি। কৃষি মন্ত্রণালয় উভয়সংকটে আছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, একদিকে আবাদে খরচ বেশি, দাম কম হলে বলা হয় কৃষকেরা দাম পাচ্ছেন না। আবার অস্বাভাবিক দামও গ্রহণযোগ্য না। দাম বেশি হলে গরিব মানুষের সমস্যা হয়। দাম কমে গেলে কৃষকেরা সমস্যায় পড়েন। দাম সহনশীল পর্যায়ে রাখতে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।