জমে উঠেছে ফিজিক্স অলিম্পিয়াড

দশম ডাচ-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন বিজ্ঞানচিন্তার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম। ছবি: আবদুস সালাম
দশম ডাচ-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন বিজ্ঞানচিন্তার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম। ছবি: আবদুস সালাম

রং–বেরঙের বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করা হলো দশম ডাচ–বাংলা ব্যাংক–প্রথম আলো ফিজিক্স অলিম্পিয়াড ২০২০। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরার ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির মিলনায়তনে শুরু হয় এই অলিম্পিয়াড।

এবারের অলিম্পিয়াডে অংশ নিচ্ছে ঢাকা উত্তর অঞ্চলের প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থী। আসরের আয়োজন করছে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াড কমিটি। পৃষ্ঠপোষকতায় ডাচ্–বাংলা ব্যাংক লিমিটেড। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রথম আলো, ম্যাগাজিন পার্টনার কিশোর আলো, বিজ্ঞানচিন্তা, সহযোগিতায় বন্ধুসভা।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা। ছবি: আবদুস সালাম
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা। ছবি: আবদুস সালাম

অনুষ্ঠানে বিজ্ঞানচিন্তার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান দিয়ে সারা বিশ্ব বাংলাদেশকে চিনবে। দেশের তরুণ শিক্ষার্থীরা ভালো করছে, করবে। ক্রিকেট খেলা দিয়ে বিশ্ব বাংলাদেশকে চেনে। একসময় আসবে যখন ফিজিক্স অলিম্পিয়াড দিয়েও মানুষ দেশকে চিনবে।

বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মাসুদ বলেন, এবারের অলিম্পিয়াডে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে। এটা একটা উৎসব। ফিজিক্সে ভালো করতে হলে লেগে থাকতে হবে। এটা নিয়মিত চর্চার ব্যাপার। এক দিন পড়েই সব হয়ে যাবে, তা না।

বেলুন উড়িয়ে দশম ডাচ-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করা হয়। ছবি: আবদুস সালাম
বেলুন উড়িয়ে দশম ডাচ-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করা হয়। ছবি: আবদুস সালাম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আরশাদ মোমেন বলেন, ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে প্রচুর চর্চার দরকার হয়। কোনোভাবেই হাল ছাড়া যাবে না।

উদ্বোধনী বক্তব্যের পর শুরু হয় পরীক্ষা। এরপর খাবারের বিরতি। দুপুরে থাকছে রোবট ডেমোনস্ট্রেশন, আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।

পরীক্ষায় ব্যস্ত শিক্ষার্থী। এবিসি ক্যাটাগরির অংশগ্রহণকারীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। ছবি: আবদুস সালাম
পরীক্ষায় ব্যস্ত শিক্ষার্থী। এবিসি ক্যাটাগরির অংশগ্রহণকারীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। ছবি: আবদুস সালাম

তিনটি ক্যাটাগরিতে অলিম্পিয়াড হবে। ষষ্ঠ থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ‘এ’ ক্যাটাগরি, অষ্টম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ‘বি’ ক্যাটাগরি, দশম থেকে একাদশ পর্যন্ত শুধু আগের বছর আঞ্চলিক অথবা জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ী যারা দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরতদের নিয়ে ‘সি’ ক্যাটাগরি।

আঞ্চলিক উৎসব থেকে প্রতিটি ক্যাটাগরি থেকে ২০ জন বা তার বেশি প্রতিযোগীকে জাতীয় পর্যায়ের জন্য মনোনীত করা হবে। জাতীয় পর্যায় থেকে বিজয়ী ছাত্রছাত্রীদের ট্রেনিং ক্যাম্পে ডাকা হবে। পূর্বের এশিয়ান ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা সরাসরি জাতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং আন্তর্জাতিক ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারীরা (বয়স এবং APhO ও IPhO নিয়ম অনুযায়ী ২০১৮ তে যোগ্যসাপেক্ষে) সরাসরি জাতীয় ট্রেনিং ক্যাম্পে অংশ নিতে পারবে।

পরীক্ষায় মগ্ন শিক্ষার্থী। এবিসি ক্যাটাগরির অংশগ্রহণকারীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। ছবি: আবদুস সালাম
পরীক্ষায় মগ্ন শিক্ষার্থী। এবিসি ক্যাটাগরির অংশগ্রহণকারীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। ছবি: আবদুস সালাম

এ বছর সর্বোচ্চ ৮ জন প্রতিযোগীকে তাইওয়ানে অনুষ্ঠেয় ২১তম এশিয়ান ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে এবং ৫ জনকে রোমানিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ইউরোপিয়ান ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে এবং ৫ জনকে লিথুনিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ৫১তম আন্তর্জাতিক ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচন করা হবে।