নরসিংদীতে বাসচাপায় প্রাইভেটকারের চালক নিহত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নরসিংদীর শিবপুরে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় উজ্জ্বল মিয়া (৩৫) নামের প্রাইভেটকারের এক চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন একই পরিবারের চার সদস্য। তাঁরা ওই প্রাইভেটকারের যাত্রী ছিলেন। শিবপুরের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চৈতন্যা এলাকায় আজ শুক্রবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত উজ্জ্বল মিয়া কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর এলাকার মফিজ উদ্দীনের ছেলে। দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন শিবপুরের যশোর ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের আবদুল আজিজ (৫০), সালাউদ্দিন (৫৪), তাঁর স্ত্রী সুলতানা বেগম (৪০) এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আলমগীর হোসেনের ছেলে মাশরাফি (২২)। তাঁরা সবাই একই পরিবারের সদস্য।

আহত পরিবারটির আবদুল আওয়াল নামের একজন সদস্য জানান, রায়পুরার আদিয়াবাদে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন সালাউদ্দিন ও তাঁর পরিবারের সাদ সদস্য। দাওয়াত শেষে প্রাইভেটকারে করে নিজেদের বাড়িতে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, যাত্রীবাহী প্রাইভেটকারটি চৈতন্যা বাজার এলাকায় মহাসড়ক পার হচ্ছিল। এ সময় কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী যাতায়াত পরিবহনের একটি বাস প্রাইভেটকারটিকে চাপা দিলে সেটি দুমড়েমুচড়ে যায়। দুর্ঘটনার পরপর আহত পাঁচজনকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চালক উজ্জ্বল মিয়ার মৃত্যু হয়।

নরসিংদী জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) এ এন এম মিজানুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত পাঁচজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে উজ্জ্বল নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জায়েদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, অসতর্ক অবস্থায় গাড়ি চালানোয় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাস ও দুমড়েমুচড়ে যাওয়া প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়েছে। বাসের চালক ঘটনার পর পালিয়ে গেছেন। নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।