পুলিশ দেখেই বিয়ের আসর ছেড়ে দৌড়, কাজির কারাদণ্ড

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পুলিশ আসতে দেখেই বাল্যবিবাহের আসর ছেড়ে কাজিসহ বর ও কনেপক্ষের সবাই দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে পাশের বাড়ি থেকে কাজিকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরের গোসিংগা ইউনিয়নের কর্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ওই কাজির নাম আবুল বাশার (৫০)। তিনি একই গ্রামে আবদুল হামিদের ছেলে। শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামসুল আরিফীন ভ্রাম্যমাণ আদালতটি পরিচালনা করে ওই দণ্ডাদেশ দেন।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিয়ে পড়ানোর জন্য আবুল বাশারের নিজের কোনো লাইসেন্স নেই। তিনি গোসিংগা ইউনিয়নের কাজি সাদেক মিয়ার নিকাহ রেজিস্টার খাতা নিয়ে বিয়ে পড়ান। তিনি মূলত বাল্যবিবাহ পড়ান। কিছুদিন ধরেই তাঁর এসব অনিয়মের বিষয়ে খবর পাওয়া যায়। আজ দুপুরে কর্ণপুর গ্রামে একটি বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ দেখেই আবুল বাশার, বর ও কনেপক্ষের সবাই দৌড়ে পালিয়ে যান। এ সময় পুলিশ ধাওয়া দিয়ে বাশারকে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাঁকে হাজির করা হলে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বর ও কনেপক্ষের সবাই পালিয়ে যাওয়ায় তাঁদের কাউকে আইনের আওতায় আনা যায়নি।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক শামসুল আরিফীন বলেন, জন্মসনদ না দেখেই বাল্যবিবাহ পড়িয়ে কেবল বর ও কনের স্বাক্ষর রেখে দেওয়া হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী তথ্য বসিয়ে নেওয়া হয়। পরে বর-কনেকে কাবিননামা দেওয়ার বিপরীতে টাকা দাবি করেন আবুল বাশার। আবার কেউ তালাকনামা নিতে গেলেও প্রতারণার আশ্রয় নেন তিনি।