শাল্লায় আ.লীগ থেকে দুজন প্রার্থী, সুবিধায় বিএনপি

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান অবনী মোহন দাসকে সমর্থন দিয়েছে।
এদিকে স্থানীয় একজন নেতা কেন্দ্রের প্রভাব খাটিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা আল-আমিন চৌধুরীকে সমর্থন দিয়েছেন। তাঁরা দুজনই নিজেদের দলের সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে দাবি করছেন। এতে বিপাকে পড়েছেন দলটির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। বিএনপি থেকে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে দলটি। ৬ মার্চ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ওই দুজন প্রার্থীর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওলিউল হক বলেন, ‘আমাদের দলের প্রার্থী হচ্ছেন আল-আমিন চৌধুরী। গত ২০ ফেব্রুয়ারি উপজেলার কোর্ট পয়েন্টে জনসভা করে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে আল-আমিন চৌধুরীকে দলের সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমানও একই কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে মতিউর বলেন, সরাসরি কেন্দ্র থেকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাউকে সমর্থন দেওয়ার বিধান নেই।
আল-আমিন চৌধুরী বলেন, স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে ২০ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে দলের সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন।
শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিম চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমাদের দলের প্রার্থী হচ্ছেন আল-আমিন চৌধুরী। লিডার দলের প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেছেন। আমরা তাঁর সঙ্গে আছি। অবনী মোহন বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।’
অবনী মোহন দাস বলেন, ১৩ ফেব্রুয়ারি গণভবনে আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় সিলেট বিভাগে বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান পদে দলের সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে ২০ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। ওই তালিকায় তাঁর নামও রয়েছে। সেই হিসেবে তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। দলের নেতা-কর্মীরা তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী বলেন, দল থেকে দুজন প্রার্থী হওয়ায় তাঁরা কার পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেবেন তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন।
এই উপজেলা পরিষদে বিএনপির সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি গনেন্দ্র চন্দ্র সরকার। দলটি থেকে আর কোনো ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। গনেন্দ্র চন্দ্র সরকার বলেন, ‘আমাদের দলে কোনো কোন্দল নেই। আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’