গ্রেপ্তার কনস্টেবলের তথ্যে অপহৃত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

অবশেষে রংপুরে অপহৃত তোশারেফ হোসেনের (৪০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশ কনস্টেবলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার নন্দনপুর গ্রাম থেকে মাটিচাপা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।

অভিযানে থাকা রংপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশিদ এর সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, এ অপহরণের ঘটনায় অপহৃত তোশারেফের বোন মামলা করেন। ওই মামলার আসামি পুলিশ কনস্টেবল রবিউল ইসলামের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গতকাল শনিবার সারা রাত অভিযান চালানো হয়। আজ সকাল ১০টার দিকে অপহৃত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আলতাফ হোসেন বলেন, কী কারণে তোশারেফকে হত্যা করা হয়েছে, তা পরে সাংবাদিকদের জানানো হবে।

১৬ জানুয়ারি অপহৃত তোশারেফের বড় বোন সাজিয়া আফরিন বাদী হয়ে রংপুর কোতোয়ালি থানায় রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত কনস্টেবল রবিউল ইসলামসহ ছয়জনকে আসামি করে অপহরণ মামলা করেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, একজন গৃহকর্মীর সন্ধানে ১০ জানুয়ারি ঢাকার বাসিন্দা তোশারেফ হোসেন নামের এক ব্যক্তি বাসে করে রংপুরে আসেন। পরের দিন তোশারেফ শহরের কামারপাড়া ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে নামেন। বাসস্ট্যান্ড থেকে রবিউল ইসলাম (২৬) নামের একজন পুলিশ কনস্টেবলসহ আরও কয়েকজন তাঁকে নিয়ে যান। পুলিশ কনস্টেবল ও তোশারেফ পূর্বপরিচিত।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, তোশারেফকে ওই দিন সকাল সাতটায় বাসস্ট্যান্ড থেকে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। ওই দিন তোশারেফের পরিবারের পক্ষ থেকে মুঠোফোনে কয়েকবার কথা বললেও এক দিন পর তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর আসামি রবিউলের সঙ্গে মুঠোফোনে তোশারেফের পরিবারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেওয়া হয়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করার পরও অপহৃত তোশারেফকে পাওয়া যায়নি। ১৬ জানুয়ারি পুলিশ কনস্টেবল রবিউলসহ ছয়জনকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা করা হয় রংপুর কোতোয়ালি থানায়।

মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ গত শুক্রবার রাতে এই অপহরণ মামলার প্রধান আসামি কনস্টেবল রবিউল ইসলাম (২৬), বিপুল কুমার রায় (৪৩) ও সাইফুল ইসলামকে (৩৮) গ্রেপ্তার করে। আসামিদের মধ্যে বিপুলের বাড়ি রংপুর সদর উপজেলার ক্ষত্রিয়পাড়া এবং সাইফুলের বাড়ি রংপুর সদর উপজেলার মধ্য খাঁ এলাকায়। আর রবিউল ভাড়া থাকেন রংপুর নগরের সাতগাড়া ডাঙিরপাড় এলাকায়।