মেয়র হলে সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করব: ইশরাক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিএনপি-মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন লালবাগ এলাকায় প্রচার চালান। নবাবগঞ্জ রোড, ঢাকা, ১৯ জানুয়ারি। ছবি: দীপু মালাকার
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিএনপি-মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন লালবাগ এলাকায় প্রচার চালান। নবাবগঞ্জ রোড, ঢাকা, ১৯ জানুয়ারি। ছবি: দীপু মালাকার

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেছেন, তিনি মেয়র হলে সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করবেন। এ জন্য শুধু সরকারের সদিচ্ছা প্রয়োজন বলে তিনি দাবি করেন।

আজ রোববার দুপুরে আজিমপুর মোড়ে এক পথসভায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক এ কথা বলেন।

পথসভায় ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আমি মেয়র হলে সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ৫২টি প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করব। এ জন্য শুধু সরকারের সদিচ্ছা প্রয়োজন। তবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। এ ব্যাপারে আপনাদের সজাগ থাকতে হবে। কারণ, এই নির্বাচন হচ্ছে ঢাকাকে ধ্বংসের কবল থেকে রক্ষা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির নির্বাচন। আপনারা কোনোভাবেই সেই সুযোগকে হাতছাড়া করবেন না।’ নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় ইশরাকের সঙ্গে থাকা বিএনপির হাজারখানেক কর্মী-সমর্থক ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’, ‘খালেদা জিয়ার সালাম নিন, ধানের শীষে ভোট দিন’, ‘হবে হবে হবে জয়, ধানের শীষের হবে জয়’ স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলে।

নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন প্রসঙ্গে ইশরাক বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের সময়ই নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল হিন্দুধর্মাবলম্বীদের পূজার বিষয়টা বিবেচনায় রাখা। তাহলে আজকে পরীক্ষার্থীদের (এসএসসি) নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনজনিত বিপাকে পড়তে হতো না। এই দায়ভার নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। তবে শেষে হলেও পূজার কারণে নির্বাচন পেছানোয় সাধুবাদ জানাই।’

গণসংযোগ চলাকালে এলাকার অনেক ভোটার মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে বুকে জড়িয়ে ধরেন।

সকালে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর কবর জিয়ারত করেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তিনি আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে দশম দিনের মতো প্রচার শুরু করেন। পরে ছাপরা মসজিদ, আজিমপুর কবরস্থান, জগন্নাথ সাহা রোডসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে বেলা পৌনে তিনটার দিকে লালবাগে এসে আজকের গণসংযোগ শেষ করেন।

প্রচারে অংশ নেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, কেন্দ্রীয় নেতা মীর শরাফত আলী সফু, এস এম জিলানী, যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মোরতাজুল করিম, রফিক শিকদারসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী এবং স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা।