মূল লাইন থেকে গ্যাস চুরি করে চলছিল কারখানা, রেস্টুরেন্ট

অবৈধ গ্যাস–সংযোগের কারণে আটক করা হয় চারজনকে। ছবি: সংগৃহীত
অবৈধ গ্যাস–সংযোগের কারণে আটক করা হয় চারজনকে। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জে গজারিয়ায় তিতাস গ্যাসের মূল লাইন ছিদ্র করে সেখান থেকে গ্যাস চুরি করে চলছিল মার্বেল কারখানা ও রেস্টুরেন্ট। এর আগেও কয়েকবার তাদের গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও তারা দমেনি। আজ রোববার এসব প্রতিষ্ঠানের চারজনকে র‌্যাব আটক করে। বিচ্ছিন্ন করা হয় গ্যাস সংযোগ।

আটক ব্যক্তিরা হলেন মার্বেল কারখানার মালিক রিপন প্রধান (৩৬), প্রধান মিস্ত্রি খলিলুর রহমান (৩০), গ্যাসলাইন মিস্ত্রি মুরাদ হোসেন (৩২) ও সহকারী মিস্ত্রি নজরুল ইসলাম (৪০)।

আজ রোববার সকাল আটটার দিকে গজারিয়া থানাধীন জামালদি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় র‌্যাব-১১–এর একটি দল অভিযান চালিয়ে এসব অনিয়ম খুঁজে পায়।

অবৈধভাবে সংযোগ নেওয়ার অভিযোগে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
অবৈধভাবে সংযোগ নেওয়ার অভিযোগে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

র‌্যাব-১১ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আটক ব্যক্তিরা অনেক দিন ধরে পরস্পর যোগসাজশে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের তিতাস গ্যাস কোম্পানি মূল পাইপলাইনে ছিদ্র করে সেখান থেকে অন্য পাইপলাইনের সাহায্যে গ্যাস চুরি করে মার্বেল কারখানা চালিয়ে আসছে। আটক রিপন অবৈধ গ্যাস–সংযোগের মূল হোতা। মার্বেল কারখানা ছাড়াও তাঁর মালিকানাধীন দারুচিনি নামক একটি রেস্টুরেন্ট দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ গ্যাস–সংযোগ দিয়ে ব্যবসা করে আসছে। এভাবে তারা প্রতি বছর প্রায় লাখ লাখ টাকার গ্যাস চুরি করে রাষ্ট্রায়ত্ত সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে আসছে। পরে তিতাস গ্যাস কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ওই মার্বেল কারখানা ও রেস্টুরেন্টের অবৈধ গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এর আগে ওই মার্বেল কারখানা ও রেস্টুরেন্টের অবৈধ গ্যাস–সংযোগ বেশ কয়েকবার বিচ্ছিন্ন করেছিল। কিন্তু তারা আবারও অবৈধ গ্যাস–সংযোগ স্থাপন করে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।