'আমার হাতে গড়া ছাত্রনেতা যখন আমার চোখের সামনে চলে যায়, তা খুবই দুঃখজনক'

শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংসদ ভবন, ১৯ জানুয়ারি। ছবি: পিআইডি
শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংসদ ভবন, ১৯ জানুয়ারি। ছবি: পিআইডি

বগুড়া-১ আসনের সাংসদ আবদুল মান্নানের মৃত্যুতে সর্বসম্মতভাবে শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করেছে জাতীয় সংসদ। আজ রোববার সংসদে শোকপ্রস্তাব নেওয়া হয়। রেওয়াজ অনুযায়ী, চলমান সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাব নেওয়ার পর সংসদ মুলতবি করা হয়।

শোকপ্রস্তাবের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৮২ সালে অনেকেই ছাত্রলীগ ছেড়ে চলে যায়। সে সময় ছাত্রলীগের খুব দুরবস্থা ছিল। তখন তিনি আবদুল মান্নানকে ছাত্রলীগের সভাপতি করেন। ওই সময় ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করার খুব দরকার ছিল এবং মান্নানের সেই দক্ষতা ছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মৃত্যুর কয়েক দিন আগে মান্নানের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা না হওয়ায় মনে হয় তাঁর একটু দুঃখ ছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার হাতে গড়া ছাত্রনেতা যখন আমার চোখের সামনে চলে যায়, তা খুবই দুঃখজনক। এভাবে মারা যাওয়াটা দলের জন্য তো বটেই দেশের জন্যও ক্ষতিকর।’

অন্যদের মধ্যে সরকারি দলের সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, বিরোধী দলের মসিউর রহমান, পীর ফজলুর রহমান, গণফোরামের সুলতান মুহাম্মদ মনসুর প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।