গড়াই নদে খনন চলছে

গড়াই নদ সচল রাখতে চলছে খনন। কুষ্টিয়ার মিরপুরের তালবাড়িয়া এলাকায়।  ছবি: প্রথম আলো
গড়াই নদ সচল রাখতে চলছে খনন। কুষ্টিয়ার মিরপুরের তালবাড়িয়া এলাকায়। ছবি: প্রথম আলো
>■ নভেম্বরে তালবাড়িয়াসহ কয়েকটি পয়েন্ট থেকে খননকাজ শুরু হয়েছে। এবার পরিকল্পিত খননের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
■ আগে দুটি খননযন্ত্র দিয়ে খননকাজ চললেও এবার পাঁচটি খননযন্ত্র দিয়ে কাজ চলছে।
■ প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত খননকাজ চলছে।
■ প্রতিবছর বর্ষার পর গড়াইয়ের উৎসমুখে প্রচুর পলি পড়ে পদ্মা থেকে গড়াই নদে পানি প্রবেশ অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়।


শুষ্ক মৌসুমে গড়াই নদে হাঁটুপানি থাকে। নদের ঘট্টিয়াঘাট এলাকা দিয়ে লোকজন হেঁটে কুষ্টিয়া শহরে আসতে পারে। তবে এবার পানির বেশি প্রবাহের লক্ষ্যে গড়াইয়ে খনন শুরু হয়েছে। ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গড়াই নদে কয়েক বছরের তুলনায় শুষ্ক মৌসুমে এবার পানির প্রবাহ স্বাভাবিক থাকবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, গড়াই নদকে সচল রাখতে পরিকল্পিতভাবে খননের সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী গত বছরের ২৪ অক্টোবর থেকে নদের উৎসমুখ মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া থেকে খননকাজ শুরু হয়। আগে দুটি খননযন্ত্র দিয়ে খননকাজ চললেও এবার প্রথমেই পাঁচটি খননযন্ত্রে একসঙ্গে খননকাজ চলছে। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত এ কাজ চলছে।

পাউবো ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর বর্ষার পর গড়াইয়ের উৎসমুখে প্রচুর পলি পড়ে পদ্মা থেকে গড়াই নদে পানি প্রবেশ অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে অক্টোবর-নভেম্বর মাসের দিকে গড়াই নদ শুকিয়ে যায়। এ ছাড়া কয়েক বছর ধরে অপরিকল্পিত খননে নদ একেবারে সংকুচিত হয়ে আসে। আর খননকাজেও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ আসে। তেল চুরির ঘটনা ঘটে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নদ পরিদর্শন করে কাজ বন্ধ করে দেন। সে সময় মানিকগঞ্জ খনন বিভাগ কাজ করেছিল। এবার ভেড়ামারা খনন বিভাগকে কাজ দেওয়া হয়েছে।