শেখ হাসিনার জনসভায় গুলিতে হত্যার দায়ে ৫ পুলিশের মৃত্যুদণ্ড

পুলিশ প্রহরায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি: ইউএনবি
পুলিশ প্রহরায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি: ইউএনবি

চট্টগ্রামে ১৯৮৮ সালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় পুলিশের গুলিতে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বেলা সোয়া তিনটায় চট্টগ্রাম বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইসমাইল হোসেন এই রায় দেন।

১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে শেখ হাসিনার জনসভায় পুলিশের গুলিতে ২৪ জন নেতা-কর্মী নিহত হন। চট্টগ্রাম গণহত্যা নামে পরিচিত এই ঘটনার চার বছর পর ১৯৯২ সালে আইনজীবী শহীদুল হুদা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদাসহ ৪৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা প্রত্যেকেই পুলিশের সদস্য। তাঁরা হলেন জে সি মণ্ডল, প্রদীপ বড়ুয়া, মমতাজউদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান ও শাহ অবদুল্লাহ। তাঁদের মধ্যে জে সি মণ্ডল পলাতক।

মামলার প্রধান আসামি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের তৎকালীন কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদা। তিনি মারা গেছেন।

চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় পুলিশের গুলিতে ২৪ জনকে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের পর আদালত থেকে আসামিদের নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। চট্টগ্রাম, ২০ জানুয়ারি। ছবি: সৌরভ দাশ
চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় পুলিশের গুলিতে ২৪ জনকে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের পর আদালত থেকে আসামিদের নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। চট্টগ্রাম, ২০ জানুয়ারি। ছবি: সৌরভ দাশ

পুলিশের গুলির ঘটনায় নিহত স্বপন কুমার বিশ্বাসের বড় ভাই অশোক বিশ্বাস এবং আহত আবু সৈয়দ চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ মীর রুহুল আমিনের আদালতে সাক্ষ্যদানের সময় বলেন, মীর্জা রকিবুল হুদার নির্দেশে পুলিশ ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে গুলি চালিয়েছিল

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি শবু প্রকাশ বিশ্বাস আজ রায়ের পর বলেন, ৫৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। তাঁদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। পৃথক আরেকটি ধারায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিদের প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।