সেই গৃহবধূ ধর্ষণে পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত নন: পিবিআই

যশোরের শার্শা উপজেলায় আলোচিত সেই গৃহবধূ ধর্ষণ মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা (এসআই) খায়রুল আলমের জড়িত থাকার প্রমাণ পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তবে প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে ওই গৃহবধূর পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল বলে জানিয়েছে পিবিআই।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে পিবিআই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর রাতে শার্শা উপজেলার একটি গ্রামে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার জন্য ওই গৃহবধূ শার্শা উপজেলার গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) খায়রুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। পরে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও একজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি প্রথমে শার্শা থানার পুলিশ তদন্ত করে। পরে পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মামলায় উল্লেখ করা আসামি তিনজন হলেন আবদুল কাদের, আবদুল লতিফ ও কামরুল। ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দিন হুসাইনের আদালতে আসামি আবদুল লতিফ আদালতে গৃহবধূ ধর্ষণের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এ বিষয়ে পিবিআই যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘তদন্তে ধর্ষণের ঘটনায় এসআই খায়রুল আলমের সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এজাহারে নাম না থাকলেও এসআই খায়রুল আলমের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানেও প্রমাণ মেলেনি। গ্রেপ্তার অবদুল লতিফের সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। শিগগিরই মামলাটি অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেওয়া হবে।’

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনায় দেখা যায়, স্বীকারোক্তি দেওয়া আসামি আবদুল লতিফের সঙ্গে বাদী ওই নারীর পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। সেই সূত্রে তাঁদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘটনার আগেও তাঁদের একাধিকবার অনৈতিক সম্পর্ক হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষায় স্বীকারোক্তি দেওয়া অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত অপর দুজন ওই গৃহবধূর পূর্বপরিচিত। দুজনের সঙ্গেই বাদীর একাধিক বিষয় নিয়ে আগে থেকেই শত্রুতা ছিল।

ওই গৃহবধূর স্বামীকে মাদকের একটি মামলায় পুলিশ আগেই গ্রেপ্তার করে। কারাগারে তাঁর স্বামীর সঙ্গে ঘটনার এক দিন আগে দেখা করেন ওই নারী।

পিবিআই যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ধর্ষণের মামলায় আবদুল লতিফ নামের একজনের সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। অপর দুজন অভিযুক্তের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। গ্রেপ্তার তিনজনই জামিনে রয়েছেন।’