ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ

নয়াদিল্লিতে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেন। ২১ জানুয়ারি। ছবি: নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাস
নয়াদিল্লিতে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেন। ২১ জানুয়ারি। ছবি: নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাস

নয়াদিল্লিতে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান আজ মঙ্গলবার ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।

ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রয়াত রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলীর স্থলাভিষিক্ত হলেন মুহাম্মদ ইমরান। তিনি নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে (রাষ্ট্রপতি প্যালেস) বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানে এই পরিচয়পত্র পেশ করেন।

নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে কোবিন্দ বলেন, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সবদিকে বিশেষত নিরাপত্তা, যোগাযোগ এবং উভয় দেশের জনগণের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্র আরও দৃঢ় ও গভীর হবে বলে তিনি আশা করেন। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে এবং এই সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেন, নয়াদিল্লি বাংলাদেশকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরও প্রাণবন্ত দেখতে চায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তীতে এবং দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছরের যৌথ উদ্‌যাপনে অংশীদার হতে পেরে ভারত খুশি। তিনি বাংলাদেশের প্রয়াত হাইকমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলীকে ভারতের একজন ভালো বন্ধু এবং সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হিসেবে উল্লেখ করে স্মরণ করেন। তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক একটি ব্যতিক্রমী পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মনে করেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির গতিশীল নেতৃত্বের জন্য এটিকে ‘সেরা সম্পর্ক’ এবং ‘প্রতিবেশী সম্পর্কের মডেল’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি উইন-উইন ভিত্তিতে সর্বাত্মক অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে কেন্দ্র করে এবং পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস, নিরাপত্তা, যোগাযোগব্যবস্থা জোরদারের জন্য আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা আরও প্রসার ঘটানোর লক্ষ্যে শেখ হাসিনার অব্যাহত প্রয়াসের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

হাইকমিশনার বলেন, এই বছরের ১৭ মার্চ ঢাকায় উদ্‌যাপন করা হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব শতবর্ষ’। নির্ধারিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদিসহ একাধিক ভারতীয় নেতা এতে অংশগ্রহণ করবেন বলে বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে। ইমরান বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে সর্বাত্মক সমর্থন দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ভারত সরকার এবং জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞ।

নতুন হাইকমিশনার, ভারতের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন।

কর্মজীবনে কূটনীতিক মুহাম্মদ ইমরান প্রায় সাত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি উজবেকিস্তানেও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে ছিলেন।