আওয়ামী লীগ-সমর্থকদের কাছে ভোট চাইলেন ইশরাক

রাজধানীর হাজারীবাগের ঝাউচর এলাকায় ত্রয়োদশ দিনের মতো প্রচার চালান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। ঢাকা, ২২ জানুয়ারি। ছবি: হাসান রাজা
রাজধানীর হাজারীবাগের ঝাউচর এলাকায় ত্রয়োদশ দিনের মতো প্রচার চালান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। ঢাকা, ২২ জানুয়ারি। ছবি: হাসান রাজা

আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন (ডিএসসিসি) উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেছেন বিএনপি–সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। বিভিন্ন অলিগলিতে আওয়ামী লীগ–সমর্থিত প্রার্থীদের নির্বাচনী ক্যাম্পে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে হাত মেলানোসহ কোলাকুলি করেছেন তিনি। এ ছাড়া ভোটারদের হাতে লিফলেট দিয়ে ভোট চাওয়ার পাশাপাশি সড়কের পাশে থাকা দোকানি ও পথচারীর সঙ্গেও কোলাকুলি করে মন জয়ের চেষ্টা করেছেন ইশরাক।

আজ বুধবার ১৩তম দিনের মতো প্রচারে নেমে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় জনসংযোগ করার সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের কাছে ভোট চান ইশরাক।

এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের ওপর হামলার ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইশরাক। তিনি বলেন, পেছন থেকে কাপুরুষোচিত ও ন্যক্কারজনক হামলা করা হয়েছে। প্রায় ২৪ ঘণ্টা হতে চলল, অথচ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। দুপুরে হাজারীবাগের ঝাউচর বেড়িবাঁধ এলাকায় প্রচার শুরুর আগে ইশরাক এই ক্ষোভের কথা জানান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ থেকে জনগণের পক্ষে থাকারও আহ্বান জানান তিনি।

আজ বুধবার বেলা দেড়টা থেকে রাত সাতটা পর্যন্ত কামরাঙ্গীরচর ও পুরান ঢাকার সাতটি ওয়ার্ডে জনসংযোগ চালিয়েছেন তিনি। প্রচার শুরুর আগে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আমাদের এই শহরকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে, এ থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে একটা পরিবর্তন দরকার। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি একটা সুবর্ণ সুযোগ এসেছে।’ জনগণের হাতে ক্ষমতার মালিকানা ফিরে পেতে তিনি সবাইকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।

ইশরাকের প্রচারে আজ তাঁর সঙ্গে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাসার প্রমুখ। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বেলা সাড়ে ১১টায় ঝাউচর বেড়িবাঁধ থেকে ইশরাকের পক্ষে প্রচার শুরুর কথা ছিল। কিন্তু সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গুজব রটে, ঝাউচর এলাকায় লাঠিসোঁটা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। এই সংবাদ শুনে ইশরাক হোসেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেছেন বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন। পরে পূর্বনির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা পর বেলা দেড়টার দিকে প্রচার শুরু হয়।