পুরকৌশলীদের সুদক্ষ হতে হবে

বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০৪১ সালের মধ্যে প্রায় ১১ গুণ বেড়ে ৩ ট্রিলিয়ন ডলার হবে। তখন অর্থনীতির বিকাশের সঙ্গে দেশে অবকাঠামো নির্মাণ ব্যাপক হারে সম্প্রসারিত হবে। এতে আগামী দিনে পুরকৌশলীদের কর্মক্ষেত্র বড় আকারে সম্প্রসারিত হবে। তাই পুরকৌশলের কারিগরি জ্ঞানের পাশাপাশি জনব্যবস্থাপনা, দর-কষাকষি ও যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে হবে।

গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন বক্তারা। ‘ইন-জিনিয়াস’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করেছে জিপিএইচ ইস্পাত ও প্রথম আলো। এই আয়োজনের একাডেমিক সহযোগিতায় রয়েছে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগ এবং জাপান ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড আরবান সেফটি (জিডপাস)।

গতকাল প্রথম পর্বের নির্বাচিত ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬২টি দলের সদস্যরা কর্মশালায় অংশ নেন। সকালে কর্মশালার উদ্বোধন করেন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের প্রধান মো. হাবিবুর রহমান। এ সময় অধ্যাপক খান মাহমুদ আমানত, সহকারী অধ্যাপক রূপক মুৎসুদ্দি, জিপিএইচ ইস্পাতের উপব্যবস্থাপক ফজলে রাব্বি, প্রথম আলোর যুব কর্মসূচির প্রধান মুনির হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

‘ইন-জিনিয়াস’ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের একজন প্রশ্ন করছেন। গতকাল বুয়েটে।
‘ইন-জিনিয়াস’ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের একজন প্রশ্ন করছেন। গতকাল বুয়েটে।

কর্মশালার বৈকালিক আয়োজনে পুরকৌশলীদের কর্মবাজার সম্পর্কে আলোচনা করেন জিপিএইচ ইস্পাতের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আবদুল ওহাব, শেল্‌টেকের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল বাশার, র‌্যাংগস প্রপার্টিজের হেড অব কনস্ট্রাকশন শাহাদত হোসেন ও প্রকৌশলী মাহবুব মোর্শেদ। এ ছাড়া কর্মশালার বিভিন্ন অধিবেশন পরিচালনা করেন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) অধ্যাপক মোজাম্মেল হক প্রমুখ। কর্মশালা সঞ্চালনা করেন প্রকৌশলী ইসরাত জাহান ও আশরাফুল আল-শাকুর। আজ বুধবার কর্মশালার শেষ দিনে চারটি কর্ম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।