সুন্দরবনে আরও দুটি ভাসমান বিওপি স্থাপন হবে: বিজিবি মহাপরিচালক

মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম
মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, সুন্দরবন ও সীমান্ত সুরক্ষায় সুন্দরবনে আরও দুটি ভাসমান বিওপি স্থাপন করা হবে। আধুনিক কয়েকটি স্পিডবোট সরবরাহ করা হবে। বনদস্যুদের তৎপরতা রোধে র‌্যাব, বন বিভাগের পাশাপাশি বিজিবিও কাজ করছে। এখন বনদস্যুদের তৎপরতা নেই বললেই চলে।

আজ বুধবার পশ্চিম সুন্দরবনের শ্যামনগর উপজেলার সাতক্ষীরা রেঞ্জের কাঁচিকাটা ভাসমান বিওপি পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালক এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি আঠারোবেঁকি ভাসমান বিওপি ও পরে কৈখালী বিওপি পরিদর্শন করেন। এ সময় খুলনা সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. আরশাদুজ্জামান খানসহ বিজিবির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, সুন্দরবন এ অঞ্চলের মানুষকে নানা দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে থাকে, দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের মানুষকে নানাভাবে আগলে রাখে। তাই সুন্দরবন রক্ষায় সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে। পাশাপাশি সুন্দরবন ভেতরে ভারতের সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এ সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবি অতন্দ্রপ্রহরী হয়ে কাজ করছে।

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, আঠারোবেঁকি ও কাঁচিকাটা ভাসমান বিওপিতে যারা দায়িত্ব পালন করে, তাদের বিনোদনের জন্য আকাশ স্যাটেলাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে। কাঁচিকাটা ভাসমান বিওপির সামনে অনেকটা ফাঁকা স্থান থাকায় সেখানে বিজিবি সদস্যরা খেলাধুলা ও বেড়াতে পারেন। কিন্তু আঠারোবেঁকি ভাসমান বিওপি এলাকায় কোনো ফাঁকা স্থান নেই। সেখানে বন বিভাগকে একটি টহল ফাঁড়ি স্থাপনের অনুরোধ করা হবে। বিজিবি সদস্যরা এই দুর্গম এলাকা থেকে যাতে তাঁদের বাড়িতে কিংবা স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন, সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, দেশের ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে ২৪৩ কিলোমিটার জলসীমা রয়েছে, যার মধ্যে ১৮০ কিলোমিটার জলসীমা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবস্থিত। দেশের স্থল সীমান্তে বিজিবির কঠোর পদক্ষেপের ফলে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য পাচার, মানব পাচার ও অন্যান্য চোরাচালান অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু বনদস্যু ও জলদস্যুরা সুন্দরবনসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জলসীমান্তে নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। এই বিস্তৃত জলসীমায় বিজিবির পর্যাপ্ত জলযান, ভাসমান বিওপি এবং জনবল না থাকায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সুন্দরবনের এই গহিন অরণ্যের জলসীমান্তে যথাযথ নজরদারি ও অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটছে। তাই জলসীমায় সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রস্তাবাধীন দুটি নতুন ভাসমান বিওপি স্থাপনের জন্য স্থান নির্বাচনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।