পিএইচডিতে জালিয়াতি বন্ধে হাইকোর্টে রিট

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

পিএইচডি ও সমমানের ডিগ্রি দেওয়ার ক্ষেত্রে জালিয়াতি বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রথম আলো অনলাইনে ‘ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণার ৯৮% নকল’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরটি যুক্ত করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করা হয়েছে।

আজ বুধবার রিটটি দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন। রিটে পিএইচডি গবেষণা অভিসন্দর্ভের (থিসিস) অনুমোদনের আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র (এনওসি) নেওয়ার বিধান করার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে। শিক্ষাসচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিটকারী আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণার ৯৮% নকল শিরোনামে প্রথম আলো অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদটি আজ বুধবার আদালতের নজরে এনে এ বিষয়ে নির্দেশনা চাইলে আদালত নিয়মিত আবেদন করার নির্দেশ দেন। পরে প্রতিবেদনটি যুক্ত করে বুধবারই হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছি। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের এমন জালিয়াতি দুঃখজনক।’ আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের দ্বৈত বেঞ্চে রিটটির ওপর শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন এই আইনজীবী।

মঙ্গলবার রাতে প্রথম আলো অনলাইনে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ৯৮ শতাংশ হুবহু নকল পিএইচডি থিসিসের মাধ্যমে ২০১৫ সালে ‘ডক্টরেট’ ডিগ্রি নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম লুৎফুল কবীর। ২০১২ সালে রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী-গবেষকের জমা দেওয়া একটি ‘স্টুডেন্ট পেপারস’-এর সঙ্গে লুৎফুল কবীরের নিবন্ধের ৯৮ শতাংশ হুবহু মিল রয়েছে। এটিসহ মোট ১৭টি জার্নাল, আর্টিকেল ও গবেষণাপত্রের সঙ্গে নিবন্ধটির বিভিন্ন অংশের উল্লেখযোগ্য মিল পাওয়া গেছে, যেগুলোর সবই লুৎফুল কবীরের অভিসন্দর্ভের আগে প্রকাশিত হয়েছে।