গণতন্ত্র সূচকে ৮ ধাপ এগিয়ে ৮০তম অবস্থানে বাংলাদেশ

গণতন্ত্র সূচকে অগ্রগতি ধরে রাখল বাংলাদেশ। আট ধাপ এগিয়ে এবার (২০১৯ সাল) বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ৮০তম। গতবার (২০১৮ সাল) এ অবস্থান ছিল ৮৮তম। গতকাল বুধবার এ সূচক প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট-এর ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। 

সূচকে গত দুই বছর টানা অগ্রগতি হলেও বাংলাদেশের অবস্থান এখনো ‘হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা’ বিভাগেই রয়েছে। তবে এর আগে ২০১৭ সালের সূচকে বাংলাদেশের বড় অবনতি হয়েছিল। পিছিয়ে গিয়েছিল আট ধাপ। সেবার ১৬৫টি দেশ ও দুটি ভূখণ্ডের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান হয় ৯২তম। অর্থাৎ তার আগের বছর ২০১৬ সালের সূচকে বাংলাদেশ ছিল ৮৪তম।

‘হাইব্রিড’ শাসনব্যবস্থা বলতে এমন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বোঝানো হয়েছে, যেখানে প্রায়ই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়। বিরোধী দল ও বিরোধী প্রার্থীদের ওপর সরকারের চাপ নৈমিত্তিক ব্যাপার। এ ছাড়া দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার ও দুর্বল আইনের শাসন; নাগরিক সমাজও দুর্বল। আর বিচারব্যবস্থা স্বাধীন নয় এবং সাংবাদিকদের হয়রানি ও চাপ দেওয়া হয়।

এবার, অর্থাৎ ২০১৯ সালে বাংলাদেশের সার্বিক সূচক ৫ দশমিক ৮৮ (১০ মূল্যায়ন পয়েন্টের মধ্যে)। আগের বছর এটি ছিল ৫ দশমিক ৫৭। সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে প্রতিবেশী ভারত, তবে পিছিয়ে পাকিস্তান। ভারত ৫১তম ও পাকিস্তান ১০৮তম। অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ভুটান ৯১তম, নেপাল ৯২তম ও মিয়ানমার ১২২তম। সূচকে অন্যবারের মতো এবারও শীর্ষ স্থানটি ধরে রেখেছে নরওয়ে (স্কোর ৯ দশমিক ৮৭)। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আইসল্যান্ড ও সুইডেন। চতুর্থ ও পঞ্চম নিউজিল্যান্ড ও ফিনল্যান্ড। শীর্ষ দশের অপর পাঁচ দেশ যথাক্রমে আয়ারল্যান্ড, ডেনমার্ক, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও সুইজারল্যান্ড। ১৬৭টি দেশের এ তালিকায় সর্বনিম্ন থেকে ওপরের দিকে থাকা পাঁচটি দেশ উত্তর কোরিয়া, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো, মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র, সিরিয়া ও চাদ।

প্রসঙ্গত, সূচকে দেশগুলোকে চারটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেসব দেশের স্কোর ৮-এর বেশি তারা রয়েছে ‘পূর্ণ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার’ বিভাগে। যেগুলোর স্কোর ৬-এর বেশি এবং ৮ বা এর কম, সেগুলো ‘ত্রুটিযুক্ত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা’, যেগুলোর স্কোর ৪-এর বেশি এবং ৬ বা এর কম, সেগুলো ‘হাইব্রিড গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা’ এবং যেসব দেশের স্কোর ৪ বা এর নিচে, সেসব ‘কর্তৃত্ববাদী গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার’ অধীন।