দুর্নীতি কমেনি, তবে অবস্থানে এক ধাপ উন্নতি: টিআইবি

দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযান এবং সরকারের উচ্চস্তরের ঘোষণা সত্ত্বেও বাংলাদেশে দুর্নীতি কমছে না। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক ২০১৯’ এ চিত্র উঠে এসেছে। তবে আগের বছরের (২০১৮) তুলনায় বাংলাদেশ এ সূচকে এক ধাপ উন্নতি করেছে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘দুর্নীতির ক্রমানুসারে আমরা এক ধাপ উন্নতি করলেও আমাদের স্কোর বাড়েনি। স্কোরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্য কেউ হয়তো বেশি খারাপ করেছে, তাই আমরা এক ধাপ এগিয়েছি। এতে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই।’

আজ বৃহস্পতিবার সারা বিশ্বে একযোগে দুর্নীতির ধারণাসূচক ২০১৯ প্রকাশ করেছে টিআই। বেলা ১১টায় রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবি কার্যালয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এবার বাংলাদেশের অবস্থান ১৪তম। গত বছর এ অবস্থান ছিল ১৩তম। ধারণা সূচকে বিশ্বের ১৮০টি দেশের অবস্থা তুলে ধরা হয়। 

এবার এই ১৪তম অবস্থানে বাংলাদেশ ছাড়াও আছে অ্যাঙ্গোলা, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, ইরান , মোজাম্বিক ও নাইজেরিয়া।

আজ প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্কোর বাড়েনি। আগের বছর স্কোর ছিল ২৬, এবারও তা–ই রয়ে গেছে।’

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গত বছর দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের সময় মানুষের মধ্যে একটি প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এটা কতটা বাস্তবায়ন হবে, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েই গেছে।

দুর্নীতির ভালো স্কোর করার মতো আইনি ও কাঠামোগত সক্ষমতা আছে। কিন্তু প্রয়োগের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতার জন্যই স্কোরে এগোতে পারছে না বাংলাদেশ। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি করেছে। দুর্নীতি থাকার ফলে এর সুফল মানুষ ঠিকমতো পাচ্ছে না।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে এসেছে।

আজকের অনুষ্ঠানে টিআইবির চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো করছে। কিন্তু এর সুফল ভালোভাবে দিতে পারছি কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন। দুর্নীতি না থাকলে আরও উন্নতি হতো।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) সুমাইয়া খায়ের , পরিচালক (আউটরিচ কমিউনিকেশন) শেখ মঞ্জুর ই আলম প্রমুখ।