আতিকুলের সভায় সোহরাওয়ার্দীর চিকিৎসক-নার্সরা

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের নির্বাচনী সভায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও নার্সকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের নির্বাচনী সভায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও নার্সকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

বেলা ১১টায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পাশে গণভবন ইউনিট আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের পাশের মাঠে ঢাকা উত্তরের আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। এ সময়ের মধ্যে মেয়র পদপ্রার্থী এসে উপস্থিত না হলেও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ও জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের অর্ধশতাধিক নার্স ও ১৫-২০ জন চিকিৎসককে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।

তাঁরা আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে স্লোগানে গলা মেলাচ্ছিলেন। মাঠের পাশে গাড়িতে স্লোগান ও সাউন্ড বক্সে নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে গান বাজতে থাকে।

তিনজন নার্সের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ফরিদুর রহমান খান ইরানের সঙ্গে এসেছেন। তাঁরা দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সে সময় তাদের নির্ধারিত কাজ (ডিউটি) ছিল না বলে তারা জানান।

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের নির্বাচনী সভায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও নার্সকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের নির্বাচনী সভায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও নার্সকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

সাড়ে ১১টার কিছু সময় পর আতিকুল ইসলাম আসেন। এখানে সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি। কিছুক্ষণ উপস্থিত থেকে চিকিৎসক-নার্সরা চলে যান।

এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হামিদা আক্তার, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচনী সমাবেশে ডাক্তার ও নার্সদের উপস্থিত থাকার বিষয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কোনো সময় বলিনি যে কেউ এখানে এসে আমার বক্তব্য শুনুক, আমার জন্য অপেক্ষা করুক। আমি এগারোটা থেকে সাড়ে এগারোটার মধ্যে সময় দিয়েছি। এর আগে যারা এসেছেন তারা হয়তো মেডিকেলের শিক্ষার্থী, শিফটিং ডিউটি করে এসেছেন। তারা চাইলে আসতে পারেন, কিন্তু রোগী বাদ দিয়ে, এখানে এসে অপেক্ষা করবে, আমার ভাষণ শুনবে, এটা কোনো সময় কাম্য নয়। একে আমি স্বাগত জানাতে পারি না।’

তিনি বলেন, 'আমার ভাই-বোন যদি কেউ আজ হাসপাতালে থাকে, আর ডাক্তার-নার্সরা সে কাজ বাদ দিয়ে এখানে আসে, তা কাম্য নয়। এটা আমি পছন্দ করি না। আমার দলও এটা পছন্দ করবে না।'

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের নির্বাচনী সভায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও নার্সকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের নির্বাচনী সভায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও নার্সকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

আতিকুল ইসলাম বলেন, সিটি করপোরেশনে এখনো সনাতনী পদ্ধতিতে খাতা-কলমে কর সংগ্রহ করা হয়। এখনো পুরোনো পদ্ধতিতে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ঝাড়ু দিয়ে শহর পরিষ্কার করে। এই বিষয়গুলোর আধুনিকায়ন করা হবে। আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করেছি যাতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নির্বাচনের প্রচার করা যায় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। নির্বাচিত হলে আমরা পোস্টার লাগানো ও প্রচার কাজের জন্য দেয়াল নির্ধারণ করে দেব। এতে নগরকে সুন্দর রাখা যাবে।

আতিকুল বলেন, যে কয়দিন প্রচারের কাজ বাকি আছে, সে কয়দিন রাস্তা বন্ধ করে, গাড়ি চলাচল বন্ধ করে যাতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করা হয়, নেতা–কর্মীদের বলব।

নতুন সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডের মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে উল্লেখ করে আতিকুল ইসলাম বলেন, এসব এলাকায় সড়কের অবস্থা খারাপ, বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা তৈরি হয়, সড়কে বাতি নেই। নির্বাচিত হলে এখানে খেলার মাঠ সড়ক সংস্কার বাজার কমিউনিটি সেন্টারের ব্যবস্থা করা হবে। নতুন ওয়ার্ড নিয়ে মহাপরিকল্পনা একনেকে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে বলে জানান তিনি।

সমাবেশ শেষে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পেছনে গণভবন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা দিয়ে আবাসিক হলগুলোর পাশে শেরে বাংলা নগরে গণসংযোগে যান আতিকুল ইসলাম। এরপর মণিপুরিপাড়া, পশ্চিম রাজাবাজার, পূর্ব রাজাবাজার, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, মগবাজার, নয়াতলা ওয়ারলেস মোড়ে গণসংযোগ করবেন আতিকুল ইসলাম।