ছোট পদক্ষেপ, কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: গাম্বিয়া

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) আদেশের আগে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর এক প্রতিনিধির উদ্দেশে হাত নাড়ছেন গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রী আবুবকর তামবাদু। ছবি: এএফপি
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) আদেশের আগে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর এক প্রতিনিধির উদ্দেশে হাত নাড়ছেন গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রী আবুবকর তামবাদু। ছবি: এএফপি

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) আদেশের পর এক প্রতিক্রিয়ায় মামলার বাদী গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী আবুবকর মারি তামবাদু বলেছেন, রোহিঙ্গাদের দুর্ভোগ অবসানে এটি একটি ছোট পদক্ষেপ, কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সুরক্ষায় বিশ্বকে এখন এগিয়ে আসতে হবে।

আইসিজে আজ বৃহস্পতিবার এক অন্তর্বর্তী আদেশে মিয়ানমারকে কয়েকটি পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।

আদালতের আদেশগুলো হলো মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনীকে সব ধরনের গণহত্যার অপরাধ ও গণহত্যার ষড়যন্ত্র থেকে বিরত থাকার নির্দেশ, গণহত্যা সনদের ধারা ২–এর আওতায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সব ধরনের সুরক্ষা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা মিয়ানমারকে পূরণ করতে হবে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা, নিপীড়ন বন্ধ এবং বাস্তুচ্যুতির মতো পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে মিয়ানমারের বিরত থাকা। তা ছাড়া মিয়ানমারকে গণহত্যা কনভেনশন মেনে চলতে বলা হয়েছে। গণহত্যার প্রমাণ ধ্বংস করা যাবে না। সশস্ত্র বাহিনী ফের কোনো গণহত্যা ঘটাতে পারবে না। চার মাস পরপর মিয়ানমারকে আদালতে রিপোর্ট দিতে হবে।

এই আদেশের পর আদেশের পর মিয়ানমারের প্রতিনিধি এবং আইনজীবীরা আদালতের আদেশের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তবে সেখানে বাংলাদেশের প্রতিনিধি জাতিসংঘের জেনেভা দপ্তরের স্থায়ী প্রতিনিধি এই আদেশকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছেন। দ্য হেগে সৌদি রাষ্ট্রদূত আবদুল আজিজ আবুহামেদ মামলার এই রায়কে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় একটি বড় অগ্রগতি বলে মন্তব্য করেছেন।

রোহিঙ্গা প্রতিনিধি তুন খিন এই রায়কে একটি মাইলফলক বলে বর্ণনা করেছেন।