আইসিজের সিদ্ধান্ত মানবতার জয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। ফাইল ছবি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। ফাইল ছবি

রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া সিদ্ধান্তকে মানবতার জয় বলে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি এসব সিদ্ধান্তকে বিশ্বের মানবাধিকারকর্মীদের জন্য মাইলফলক হিসেবেও আখ্যায়িত করেন।

ইউএনবির খবরে বলা হয়, ইকুয়েডর সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার এক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এটি মানবতার জন্য এক বিজয়, সব দেশের মানবাধিকারকর্মীদের জন্য এক মাইলফলক।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এটি গাম্বিয়া, ওআইসি, রোহিঙ্গা এবং অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য এক বিজয়। মানবতা এবং মাদার অব হিউম্যানিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মঙ্গল হোক।

নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে অবস্থিত আইসিজে আজ বৃহস্পতিবার মিয়ানমারকে কয়েকটি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের এসব নির্দেশ সর্বসম্মত। আদালতের প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবদুলকোয়াই আহমেদ ইউসুফ আদেশ পড়ে শোনান। এ সময় অপর ১৪ জন স্থায়ী বিচারপতি ও দুজন অ্যাডহক বিচারপতি আদালতকক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

আদালতের চারটি আদেশ হলো জাতিসংঘ কনভেনশন অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দিতে হবে। গণহত্যার প্রমাণ ধ্বংস করা যাবে না। সশস্ত্র বাহিনী ফের কোনো গণহত্যা ঘটাতে পারবে না। চার মাস পরপর মিয়ানমারকে আদালতে রিপোর্ট দিতে হবে, যত দিন না পর্যন্ত বিচারের চূড়ান্ত রায় প্রকাশিত হয়।

আদালত মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনীকে সব ধরনের গণহত্যার অপরাধ ও গণহত্যার ষড়যন্ত্র থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন এবং গণহত্যা সনদের ধারা ২-এর আওতায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সব ধরনের সুরক্ষা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা মিয়ানমারকে পূরণ করতে বলেছেন। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা, নিপীড়ন বন্ধ ও বাস্তুচ্যুতির মতো পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে মিয়ানমারের বিরত থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন।

মিয়ানমার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অন্তর্বর্তী ব্যবস্থার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গাম্বিয়া যেসব ব্যবস্থার আবেদন করেছে, সেগুলো হুবহু অনুসরণ না করে আদালত কিছু পদক্ষেপেরও নির্দেশ দিয়েছেন।