সীমান্তে হত্যার নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি

বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে তা বন্ধের দাবি করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ নিন্দা জানানো হয়। রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।

বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, গত কয়েক দিনে সীমান্তে একাধিক হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি এর নিন্দা জানিয়ে এ হত্যা বন্ধের দাবি জানিয়েছে।

নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা হত্যা, নির্যাতন, বাস্তুচ্যুতি বন্ধে অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে গাম্বিয়ার করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেওয়া হয়। বিএনপি এ পদক্ষেপের জন্য গাম্বিয়াকে ধন্যবাদ জানায়।

ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী, সমর্থকদের ওপর হামলা, প্রচারে বাধা ও গ্রেপ্তারের কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ধিক্কার জানানো হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটরাও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। মির্জা ফখরুল আবারও ইভিএমে ভোট গ্রহণের বিরোধিতা করে বলেন, এই ব্যবস্থাতে কারচুপি শুধু নয়, পুরো ফলাফল বদলে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁকে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় বিএনপি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৈঠকে স্কাইপে যুক্ত ছিলেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, মওদুদ আহমদ, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস ও ইকবাল হাসান মাহমুদ।

প্রচারে নামবে ২০ দল
ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র ও সমর্থিত কাউন্সিলরদের পক্ষে প্রচারে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০–দলীয় জোট। বৃহস্পতিবার বিকেলে গুলশানে ২০–দলীয় জোটের বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে জোটের সমন্বয়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এ কথা জানান।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের ওপর হামলার ঘটনায় ২০ দল নিন্দা জানিয়েছে। সিটি নির্বাচন শুধু মেয়র আর কাউন্সিলর নির্বাচিত করার ভোট নয়। এই নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র মুক্তি ও খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের অংশ। এ ছাড়া সীমান্তে হত্যারও প্রতিবাদ জানায় এ জোট।

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, জাগপার লুৎফর রহমান, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, খেলাফত মজলিসের আহমেদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ ন্যাপের এম এন শাওন সাদেকী, এনডিপির কারি আবু তাহের, ডিএলের সাইফুদ্দিন মনি, ন্যাপ ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা আবদুল করিম, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন। বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।