ফ্ল্যাটের চেয়ে আবেদন কম

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ফ্ল্যাট প্রকল্প ‘সিডিএ স্কয়ার’–এর জন্য বিক্রি হওয়া ৪০০ ফরমের মধ্যে অর্ধেকই জমা পড়েনি। এই প্রকল্পে ১৬৫টি ফ্ল্যাট থাকলেও আবেদন করেছেন ১৫২ জন। অন্য ১৩টি ফ্ল্যাটের জন্য আবার ফরম বিক্রি করবে সিডিএ।

চট্টগ্রাম নগরের দুই নম্বর গেটের বেবি সুপার মার্কেট এলাকায় ‘সিডিএ স্কয়ার’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিডিএ। প্রকল্পে ১৮ তলার দুটি ও ১৯ তলার একটি ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে। এসব ভবনে ১ হাজার ৫০০, ১ হাজার ৮০০ এবং ২ হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট আছে।

ফ্ল্যাটের তুলনায় কম ফরম জমা পড়া প্রসঙ্গে সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক কাজী কাদের নেওয়াজ বলেন, ‘খুব একটা কম পড়েনি। যা পড়েছে তাতেই তাঁরা সন্তুষ্ট। ফরম সংগ্রহকারীদের অনেকেই জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সময় বৃদ্ধি করা হলেও আরও ফরম জমা পড়ত।’

সিডিএর ফ্ল্যাট প্রকল্পগুলোর মধ্যে এই প্রকল্পে তুলনামূলক বেশি আবেদন জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।

দাপ্তরিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আবেদনকারীদের বরাদ্দপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে সিডিএর। তবে ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ শেষ হতে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে।

সিডিএ স্কয়ার প্রকল্পের ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য গত ২৮ নভেম্বর আবেদন ফরম বিক্রি শুরু করে। আবেদন ফরম সংগ্রহের শেষ সময় ছিল ৯ জানুয়ারি।

জমা দিতে হয়েছে ১২ জানুয়ারির মধ্যে। আবেদনকারীদের কাছ থেকে জামানত হিসেবে ৫ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে।

আবাসন ব্যবসায়ী ও আগ্রহী ক্রেতাদের অভিযোগ ছিল, বেসরকারি আবাসন প্রতিষ্ঠানের তুলনায় সিডিএ ফ্ল্যাটের দাম বেশি রেখেছে। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ফ্ল্যাটের দাম আরও কম রাখা উচিত ছিল বলে মনে করেন তাঁরা।

সিডিএ সূত্র জানায়, ২ হাজার বর্গফুটের ৪৫টি ফ্ল্যাটের বিপরীতে ফরম জমা পড়েছে ৬৯টি। ১ হাজার ৫০০ ও ১ হাজার ৮০০ বর্গফুট আয়তনের ৬০টি করে ১২০টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এগুলোর বিপরীতে জমা পড়েছে ৮৩টি।

আবেদনকারীদের সবার ফ্ল্যাট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক কাজী কাদের নেওয়াজ। তিনি বলেন, যেখানে বেশি ফরম জমা পড়েছে সেখানে লটারি হবে। আর তা এক মাসের মধ্যেই করার পরিকল্পনা আছে।

সিডিএ ২০১১ সালের শেষের দিকে এই ফ্ল্যাট প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছিল। প্রথমবার প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৫৩ কোটি ১১ লাখ টাকা। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের করা পাইলের নকশায় জটিলতা থাকায় প্রকল্পের কাজ থমকে যায়।

পরে ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নতুন করে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে নকশা প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর কাজ শুরু হয়।