গুরুদাসপুরে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ১

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নাটোরের গুরুদাসপুরে গৃহবধূ মনোয়ারা বেগম (৬২) হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ পর হানিফ শেখ (৪৫) নামের এক ব্যক্তি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার ভোররাতে উপজেলার কালাকান্দর এলাকার একটি কলাবাগানে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের দাবি, নিহত হানিফ গৃহবধূ মনোয়ারা বেগম হত্যা মামলার ভাড়াটে খুনি। গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

হানিফ শেখ উপজেলার কালাকান্দার গ্রামের রুহুল শেখের ছেলে। তাঁর এক ছেলে রয়েছে।

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহার ভাষ্য, প্রকৃত খুনিকে গ্রেপ্তারের স্বার্থে এখনই তাঁর নাম-পরিচয় বলা যাচ্ছে না। দ্রুত সময়ে নেপথ্যের নায়ককে গ্রেপ্তার করে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর নাম, পরিচয়সহ হত্যার কারণ জানানো হবে। হানিফ শেখের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে বড়াইগ্রাম থানায় ডাকাতি, হত্যা ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাহারুল ইসলাম জানান, মনোয়ারা বেগম হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পুলিশের পাশাপাশি পুলিশের ক্রাইম টিম হত্যার কারণ অনুসন্ধান এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে তৎপর হয়ে ওঠে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে হানিফকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে শনাক্ত করে পুলিশ।

এর আগে এএসপি (গুরুদাসপুর-সিংড়া সার্কেল) জামিল আকতারের নেতৃত্বে গুরুদাসপুর থানা–পুলিশের একটি টিম ২৩ জানুয়ারি রাতে রাজধানী ঢাকার মেরুল বাড্ডা এলাকা থেকে হানিফ শেখকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে নিয়ে রাজধানীর বনশ্রী এবং সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার কল্যাণপুরে তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় পুলিশ।

পুলিশের দাবি, হানিফ শেখকে নিয়ে পুলিশ অভিযানে গেলে তাঁর অনুসারীরা তাঁকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পুলিশের সহকারী দুই উপপরিদর্শক আবুল কালাম ও রুবেল হোসেন আহত হন। তাঁদের গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি পাইপগান ও পাঁচটি গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।

হানিফের স্ত্রী নুরজাহান বেগমের ভাষ্য, তাঁর স্বামী ১১ দিন আগে ঢাকায় রিকশা চালাতে যান। স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, হানিফ শেখ রিকশা-ভ্যান চালানো বা মাছ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

পুলিশ জানায়, ১৬ জানুয়ারি পাড়-গুরুদাসপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক মো. হাতেম আলীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম নিজ বাড়িতে ভোরে খুন হন। এ ঘটনায় শিক্ষক হাতেম আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন।