চট্টগ্রামে বস্তিতে আগুনে শতাধিক ঘর পুড়েছে

আগুন। প্রতীকী ছবি
আগুন। প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার শুলকবহর এলাকায় আজ শুক্রবার সকালে একটি বস্তিতে আগুন লেগে শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি গাড়ি দুপুরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। হতাহতের তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।

আজ সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিসের পাইপ দিয়ে বাবু কলোনিতে পানি ছিটানো হচ্ছে। স্থানীয় লোকজনও আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেন। বস্তির আশপাশে থাকা টিনশেড ঘরগুলোতে যাতে আগুন না লাগে, এ জন্য তিনটি উঁচু ভবন থেকেও পানি ছিটানো হয়। 


ঘটনাস্থলে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সকাল সাড়ে ১০টায় ডেকোরেশন গলির শেষ মাথায় বাবু কলোনিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট এক থেকে দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পুরো হিসাব তাঁরা বের করা চেষ্টা করছেন বলে তিনি জানান।

ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, কলোনিতে ঢোকার সড়ক সরু হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি নিতে খুব বেগ পেতে হয়েছে। আবার পানির সহজ উৎসও ছিল না। টিনশেড কাঁচাঘর হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে বলে তিনি ধারণা করছেন।

ঘটনাস্থলে দেখা যায়, আগুনে ঘরের সব জিনিস হারিয়ে কলোনির বাসিন্দাদের আহাজারি করতে দেখা যায়। বেবী বেগম নামে কলোনির এক বাসিন্দা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগুন আগুন’ বলে চিৎকার শুনে দেখি, কলোনির লাকীর ঘরে দাউ দাউ করে জ্বলছে। এরপরই নয় বছরের মেয়েকে নিয়ে ঘর থেকে দ্রুত বাইরে চলে আসি। ঘরের সব জিনিস পুড়ে গেছে বলে তিনি জানান।

অটোরিকশাচালক আবুল কালাম আজাদ ভোরে অটোরিকশা নিয়ে বের হন। আগুন লাগার সময় তিনি গলির মুখে আসেন। প্রথম আলোকে তিনি জানান, বাবু কলোনিতে পাঁচজনের নামে পাঁচ সারিতে টিনশেড ঘরগুলো ছিল। ‘তিনি বলেন, আগুনের খবর শুনে দৌড়ে যাই। তবে মেয়েকে নিয়ে তাঁর স্ত্রী ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। ঘরের সব জিনিস পুড়ে গেছে।’