সরকারের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের অগ্রগতি দৃশ্যমান: প্রধানমন্ত্রী

দলের কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটি এবং উপদেষ্টা কাউন্সিলের যৌথ সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ, ২৪ জানুয়ারি। ছবি: ফোকাস বাংলা
দলের কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটি এবং উপদেষ্টা কাউন্সিলের যৌথ সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ, ২৪ জানুয়ারি। ছবি: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ধারাবাহিকতা দেশের অগ্রগতি দৃশ্যমান করেছে। তিনি জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটানোর লক্ষ্যে সরকারের প্রয়াসে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা আজ শুক্রবার বিকেলে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় দলের কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটি এবং উপদেষ্টা কাউন্সিলের যৌথ সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়লাভের পর থেকে একটানা তিন মেয়াদের জন্য সরকার ক্ষমতায় রয়েছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সরকারের ধারাবাহিকতার ফলে দেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে এবং জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটছে।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে দেশবাসীর ভাগ্য পরিবর্তন করা। আমরা এই লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছি এবং এই কাজ অব্যাহত থাকবে।’

দলের প্রত্যেক নেতা-কর্মীকে জাতির জনকের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ, আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে পারব।’

দলের কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটি এবং উপদেষ্টা কাউন্সিলের যৌথ সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ, ২৪ জানুয়ারি। ছবি: ফোকাস বাংলা
দলের কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটি এবং উপদেষ্টা কাউন্সিলের যৌথ সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ, ২৪ জানুয়ারি। ছবি: ফোকাস বাংলা

তৃণমূল এবং পল্লি এলাকার জনগণ যাতে সব অর্জনের সুফল পায়, সে লক্ষ্যে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা উচ্চ প্রবৃদ্ধি হার অর্জন করেছি এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে আমরা ভালো অবস্থানে রয়েছি। আমরা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রাখব।’

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার জাতীয় পর্যায়ে মুজিব বর্ষ উদযাপনের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি অন্যান্য সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানও ভাবগম্ভীর পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করবে। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত মুজিব বর্ষ উদযাপন করা হবে। ইতিমধ্যেই ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তাঁরা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় অপরাহ্ণে জাতির জনকের সমাধিসৌধে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে এই শ্রদ্ধা জানান। তাঁরা সেখানে ফাতেহা পাঠ করেন এবং বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তি কামনা করে অনুষ্ঠিত বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে অনুষ্ঠিত একটি মিলাদেও তাঁরা অংশগ্রহণ করেন।

আজ বেলা ১১টায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া এসে পৌঁছান।