খালেদা জিয়ার মুক্তি সহমর্মিতা-সহানুভূতির বিষয় নয়: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখন আদালতের এখতিয়ারে। তাঁর মুক্তির বিষয়ে বিশেষ আবেদন সহমর্মিতা-সহানুভূতির বিষয় নয়, এটা লিগ্যাল ব্যাপার।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন কারাবন্দী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন তাঁর বোন, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দর ও তাঁর স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, ছেলে অভিক এস্কান্দর, আরেক ভাই সাইদ এস্কান্দরের স্ত্রী নাসরিন এস্কান্দর। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ দাবি করে সেলিমা ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে বিশেষ আবেদনের কথা ভাবছেন। 

এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যাঁরা বিশেষ আবেদনের কথা বলছেন, তাঁরা আসলে আবেদন কার কাছে করবেন? আদালত, নাকি সরকারের কাছে? বেগম জিয়া কিন্তু এখন আদালতের এখতিয়ারে। এখানে সহমর্মিতা-সহানুভূতির বিষয় নয়, এটা লিগ্যাল ব্যাপার। আসলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে সহমর্মিতা বা সহানুভূতির ঘাটতি নেই। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সহানুভূতির কথা বলে তো আমরা আদালতকে প্রভাবিত করতে পারি না।’

আজ শনিবার সকালে মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন। নারী গাড়িচালকদের প্রশিক্ষণ–পরবর্তী সনদ বিতরণ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ব্র্যাক।

আসন্ন ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে বিএনপি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর অজুহাত খুঁজছে।

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জেতার জন্য সরকার সবকিছু ব্যবহার করছে—বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আমরা উল্টো চিত্রটাই জানি। বিএনপির নির্বাচনে হেরে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য নানামুখী অজুহাত খুঁজছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি তথ্যপ্রমাণ দিক। কোথায় কোথায় সরকারের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন দেখছেন। সেটা তো প্রমাণ করতে হবে, তার প্রমাণ তারা দিক। দেশবাসী জানুক, শুধু মনগড়া কথা বললে তো হবে না। বিএনপি তো অন্ধকারে ঢিল ছোড়ে। ...আমি পার্টির সেক্রেটারি। একটা অফিসেও আমি আজ পর্যন্ত যাইনি। তাহলে কীভাবে প্রভাবিত হচ্ছে আমি জানি না।’

সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজনের) বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সদ্য সমাপ্ত চট্টগ্রাম উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। আবার বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে বিএনপির প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। যদি ইভিএমে কারচুপি করার সুযোগ থাকে এবং নির্বাচন নিয়ে কোনো জালিয়াতি হয়, তাহলে চট্টগ্রাম ও উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম কেন? সরকারের যদি এখানে খারাপ কোনো উদ্দেশ্য থাকত, তাহলে তো নির্বাচনে উপস্থিতির সংখ্যা বেড়ে যেত। নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে—এমন অভিযোগ করা যুক্তিহীন।