চুরি করতে দেখে ফেলায় বাড়িওয়ালাকে গলা কেটে হত্যা

লাশ
লাশ

কুষ্টিয়ায় জালাল উদ্দিন (৬৫) নামের এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। শহরের ত্রিমহোনী বারখাদা এলাকায় আজ শনিবার বেলা দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর জালাল উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকা সাহাবুল ইসলাম (২৭) ও তাঁর স্ত্রী মারিয়াকে (২১) আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, চুরি করতে দেখে ফেলার কারণেই বাড়িওয়ালাকে খুন করেছেন।

সাহাবুলের বাড়ি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নাওয়াপাড়া এলাকায়। তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। তবে সম্প্রতি চাকরি চলে যাওয়ায় তিনি বেকার হয়ে পড়েন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চার দিন আগে জালাল উদ্দিনের বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নেন তাঁরা। চাকরি চলে যাওয়ায় অর্থকষ্টে ভুগছিলেন তিনি। উপায় না দেখে তাই বাড়িওয়ালার ঘরেই চুরি করার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী আজ দুপুর ১২টার দিকে সাহাবুল নিজের ঘরে বসে জালাল উদ্দিনের সঙ্গে গল্প শুরু করেন। এ ফাঁকে সাহাবুলের স্ত্রী মারিয়া জালাল উদ্দিনের ঘরে চুরি করতে ঢোকেন। হঠাৎ ঘর থেকে শব্দ শুনে সেখানে গিয়ে মারিয়াকে চুরি করতে দেখে ফেলেন জালাল উদ্দিন। এ সময় ধরা পড়ার ভয়ে সাহাবুল ও মারিয়া বঁটি দিয়ে জালালকে গলা কেটে হত্যা করেন। ঘটনার দুই ঘণ্টা পর তাঁদের আটক করা হয়।

জালাল উদ্দিনের স্ত্রী রীনা খাতুন বলেন, ঘটনার সময় তিনি বাইরে ছিলেন। বাড়িতে এসে দেখেন স্বামীর মৃতদেহ পড়ে আছে।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, চুরি করতে দেখে ফেলার কারণেই বাড়ির মালিক জালাল উদ্দিনকে গলা কেটে হত্যা করেন। হত্যার পর পাশের ঘরেই ছিলেন তাঁরা। জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম দিকে কিছু জানেন না বলে এড়িয়ে গেলেও পরে তাঁরা সব স্বীকার করে নেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।