জনশুমারিতে এবার প্রবাসীদের গণনা করা হবে : পরিকল্পনামন্ত্রী

জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ উপলক্ষে সিলেটে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। সিলেট সার্কিট হাউসের হলরুম, ২৫ জানুয়ারি। ছবি: প্রথম আলো
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ উপলক্ষে সিলেটে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। সিলেট সার্কিট হাউসের হলরুম, ২৫ জানুয়ারি। ছবি: প্রথম আলো

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ২০২১ সালের ২ জানুয়ারি থেকে জনশুমারি ও গৃহগণনা শুরু হবে। এবারের গণনায় প্রথমবারের মতো এ দেশে অবস্থানরত বিদেশি এবং বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের গণনা করা হবে। 'জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১' উপলক্ষে আজ শনিবার বেলা দুইটায় সিলেট সার্কিট হাউসে আয়োজিত মতবিনিময়সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের ২ জানুয়ারি থেকে শুরু এবারের জনশুমারি শেষ হবে ৮ জানুয়ারি। সাত দিনব্যাপী এই গণনার জন্য ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নিখুঁতভাবে ও স্বচ্ছতার সঙ্গে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের বলা হয়েছে। এবার গণনাকারীদের ভাতা চার গুন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে গণনাকারী নিয়োগ ও সঙ্গে সঙ্গে ভাতা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খরচে বাধা নেই, তবে হিসাবে আপস নেই। প্রতিটি পয়সার হিসাব থাকতে হবে। অপচয়ের অপবাদ যেন শুনতে না হয়।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাধ্যমে জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হবে। মতবিনিময় সভায় শুমারির কার্যক্রম বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করেন বিবিএসের পরিচালক মো. জাহিদুল হক সরদার।

এর আগে সিলেটের গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের রজতজয়ন্তী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন পরিকল্পনামন্ত্রী। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘তারাই আওয়ামী লীগে কাজ করবে, যারা আওয়ামী লীগে চায় অসাম্প্রদায়িকতা, চায় ব্যক্তিস্বাধীনতা। তাই দেশের কোনো ক্ষতি হয়-এমন কোনো কাজ করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু-কন্যা সারা দেশের অঞ্চলের খবরই রাখেন। দেশের জনগণের প্রতিটা টাকার হিসাব তাঁকে দিতে হয়। শেখ হাসিনা সরল পথে বিশ্বাস করেন। তাঁর বিচক্ষণ নেতৃত্বে ইতিমধ্যে আমরা বড় বড় প্রজেক্টে হাত দিয়েছি। তাই আসুন তাঁর সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশের উন্নয়নে অংশীদার হই।’

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, বিদেশগামীদের জন্য সিলেটে দুটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এ দুটি কেন্দ্রের একটি গোয়াইনঘাটে স্থাপন করার চেষ্টা তিনি করছেন। প্রচলিত শিক্ষার সঙ্গে কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বছর বছর শুধু পাসের হার বৃদ্ধি করলে হবে না; এর পাশাপাশি শিক্ষার গুণগত মানও নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়ভিত্তিক লেখাপড়া করলে আর চাকরির জন্য অপেক্ষা করতে হয় না।’

অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাংসদ হাফিজ আহমদ মজুমদার, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, শামীমা আক্তার খানম, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য নাসরিন আহমদ, সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মজিদুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের পরিচালক হারুনুর রশিদ বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল হক।